যশোর প্রতিনিধি _
যশোর-১ (শার্শা) আসনটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন হিসেবে পরিচিত।এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল। গত ১৫ বছর এ আসনটি ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। তবে এই আসনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আওয়ামীলীগ ক্ষমত্চ্যুত হওয়ার পর বিএনপি মাঠ পর্যায়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
তবে জামায়াত-বিএনপি পৃথকভাবে নির্বাচন করছে এই আসনে। আওয়ামীলীগ যদিও নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন না। তবুও তারা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে,আওয়ামীলীগের ভোট পড়বে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে। সেক্ষত্রে এই আসনটি বিএনপির চলে যাবে বিএনপির পক্ষে, এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই আসনে বিএনপি পক্ষে নির্বাচণী প্রচার প্রচারনায় এখনও এগিয়ে আছেন যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান বিএনপির সাধারন সম্পাদক তরুন রাজনীতিবিদ ২৫টি রাজনৈতিক মামলায় আক্রান্ত ত্যাগী ও দু;সময়ের নেতা নুরুজ্জামান লিটন। মাঠ পর্যায়ে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার অবস্থান অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। অন্যদিকে বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির উপদেস্টা খায়রুজ্জামান মধু, ও শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহিরও নির্বাচনী প্রচার পচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে জামায়াত থেকে সম্ভাব্য একক প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আজিজুর রহমান নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচেছন। তিনি কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গোপনে তার নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
বিএনপির প্রবীন নেতা অকবর সর্দার বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
যশোর-১ আসনটি শার্শা উপজেলা নিয়ে গঠিত। শার্শা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৮০ জন। ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮৩ জন। মোঠ ইউনিয়ন সংখ্যা -১১ টি, ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০২ টি। পুরষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশী। নির্বাচনী মাঠে বিএনপি-জামায়াতের প্রস্তুতি দেখে আওয়ামী লীগও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি যদি যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তরুন প্রার্থী দিতে পারে এবং দলীয় ঐক্য বজায় থাকে, তবে এই আসনটি যাবে বিএনপির ঘরে।