মিয়ানমারে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এই মঞ্চের মূল পর্বে স্থান করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
লম্বা সফর করে ক্লান্ত হলেও দেশে ফেরার পরপরই তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে মধ্যরাতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে ক্লান্তি ভুলে হাসিমুখেই ছিলেন দলের সবাই। সেই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশকে অলিম্পিক- বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।
এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শেষে রোববার মধ্যরাতে ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। মেয়েদের জন্য রাতেই সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। রাত ৩টার একটু পর আলো ঝলমলে মঞ্চে আসেন খেলোয়াড়, কোচ, টিম স্টাফরা। সবাইকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাফুফের কর্মকর্তারা।
মঞ্চে জয়ী দলের সবার সামনে বোর্ডে লেখা ছিল ‘কোয়ালিফায়েড’। একটু পর উপস্থাপক নিজেই গিয়ে মেয়েদের হাতে তুলে দেন জাতীয় দলের পতাকা। শুরু হয় কনফেত্তির ওড়াউড়ি, বাজতে থাকে রক মিউজিক।
তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমার কথায় ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাস। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের সেরা ছয় দলের মধ্যে থেকে বিশ্বকাপে খেলার আশাবাদও জানান তিনি।
‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই দর্শকদের, এত রাতে আমাদের বরণ করে নেওয়ার জন্য। তাবিথ আউয়াল স্যার ও কিরণ (মাহফুজা আক্তার) ম্যাডামকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর আয়োজনের জন্য। আজ আমরা এখানে এসেছি দলীয় প্রচেষ্টায়—ফুটবল কখনও ব্যক্তিগত খেলা নয়। ’
‘আমরা বাংলাদেশের মেয়েরা জানি, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে লড়াই করতে হয়। আমাদের ওপর আপনারা বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের নিরাশ করব না। আমরা শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে চাই। ’
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তির কণ্ঠেও ছিল একই প্রত্যয়।
‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই তাবিথ আউয়াল স্যার, কিরণ ম্যাডাম ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে, এত রাতে এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য। কিরণ ম্যাডামের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা। এই মুহূর্তটা কখনও ভুলবো না। আমরা শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চাই। ’