‘আজ অনেকদিন পর তৃপ্তি করে কইডা ভাত খায়ছি। তরকারি, মাছ, ডাল মাংস, দই এত্ত খাবার একসাথে কোনোদিন খায়নি বাবা। আমাগের মতো গরিব মানুষদের তো কেউ এইভাবে দাওয়াত দেয় না’ । আবেগাপ্লুত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ৭২ বছর বয়সী রিকশাচালক নূর ইসলাম। শনিবার শহরের বোরহান শাহ সড়কের লাক্সারি ডাইনে রিকশাচালক নূর ইসলামের মতো শতাধিক শ্রমজীবী মানুষের জন্য ব্যতিক্রমী এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়। যেখানে রিকশাচালক নূর ইসলামের মতো শতাধিক শ্রমজীবী মানুষ আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন বকচর হুশতলার ভ্যানচালক শাহজাহান মোল্লা। তিনি বলেন, ‘জীবনে প্রথম দামি কোনো রেস্টুরেন্টে আইছি। এত খাবার একসাথে শেষ কবে দেখছি মনে নেই। আজ যারা আমাদের মতো গরিব মানুষদের নিয়ে এমন আয়োজন করেছে তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি।
শ্রমজীবীদের নিয়ে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমির ফয়সালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই প্রথম বাংলাদেশের শ্রমিকরা বিদেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। গার্মেন্টস শিল্পেও জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে। অথচ আজ নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর জুলুম চলছে। শহরে রিকশাচালক, ভ্যানচালকদের কোনো নীতিমালা নেই, কারণ বিগত দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো প্রতিনিধি আসেনি। তাই জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর এদেশের প্রতিটি মানুষ জুলুমের শিকার হয়েছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। যদি আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা আমরা নিশ্চিত করব।
মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা গোলাম রেজা দুলু, অ্যাডভোকেট ইসহক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ