যশোর প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম সুমনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেলাল সরদার এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আরও তিনজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশের দেয়া চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন
সমশেরবাগ গ্রামের মৃত কফিল গাজীর ছেলে রিপন গাজী, মৃত আতিয়ার গাজীর ছেলে বিল্লাল গাজী, মৃত ইয়াসিন গাজীর ছেলে নুরুল ইসলাম গাজী, ও তার ছেলে ওসমান গাজী ও পরশ গাজী, জয় উদ্দিন গাজীর ছেলে ইমরান গাজী, শাহিন গাজী ও তার ছেলে আবু নাঈম গাজী, রেজাউল গাজীর ছেলে রাহুল গাজী, নাজিম গাজীর ছেলে মনিরুজ্জামান গাজী ও নয়ন গাজী, মৃত নিছার গাজীর ছেলে আতিয়ার গাজী, মৃত এলাহী বক্স গাজীর ছেলে গোলাম গাজী, মোহাম্মদ আলী গাজী, আবুল হোসেন, সমশের গাজীর ছেলে ছরফ আলী গাজী, সুরত আলী গাজীর ছেলে আব্দুল খালেক গাজী ও তার ছেলে শামীম গাজী, লক্ষীকান্তপুর গ্রামের মোকলেসুর রহমান, নোয়ালি গ্রামের আব্দুল মান্নান গাজী ও ফারুক হোসেন, ভরতপুর গ্রামের রুহুল আমিন এবং কাশিপুর গ্রামের আবু তালেব তালহা।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, গত ২২ মার্চ গভীর রাতে একটি ট্রাকে করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে করতে স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাজারের নৈশ প্রহরী তাদের বাধা দিলে ট্রাকটি সমশেরপুর কাঁঠালতলা বাজারের কাছে মফিজুর রহমানের বাড়ির সামনে থেমে যায়। খবর পেয়ে ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম সুমনসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে ট্রাকে থাকা নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তরিকুলসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে তরিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তরিকুলের বাবা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে মামলাটি ২৫ মার্চ মণিরামপুর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
তদন্তে আটক আসামিদের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এ ছাড়া, অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় নুরুজ্জামান গাজী, কামরুল গাজী ও রেজাউল ইসলামকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, আসামিদের মধ্যে রুহুল আমিন, আবু তালেব তালহা ও বিল্লাল গাজী ছাড়া সবাই পলাতক।