যশোর অফিস: রাজশাহীতে একাদশ শ্রেণির এক নাবালিকা শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি মারুফকে যশোর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ১২টায় র্যাব-৬ যশোর ও র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানির যৌথ অভিযানে যশোরের রুপদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৫ এর রাজশাহী কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল রাজশাহী থেকে কৌশলে অপহরণ করা হয় ওই নাবালিকা ছাত্রীকে। ভিকটিম বর্তমানে স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মারুফ দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম প্রস্তাবে সাড়া না দিলে মারুফ একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে যশোরে তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ভিকটিমকে।
ভিকটিমের পরিবার ৮ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী নিয়ে আসে। এরপর ৯ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৭/৩০/৯(১) ধারায় মামলা (নং-০৫/৩৪) দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়েরের পর দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপরই র্যাব প্রধান আসামিকে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মারুফের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তাকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে শাহ মখদুম থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব জানিয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।