যশোরে গৃহবধূর কাছে জমি কেনার ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

Share

 

বিশেষ প্রতিনিধি :  এক গৃহবধূকে জমি কেনার জন্য  ২০লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতনসহ শাস রোধ করে হত্যার চেষ্টার চালিয়ে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোর বিচারক জনাব মোঃ গোলাম কবিরের নির্দেশে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ রোববার ২৩ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি নথিভূক্ত করেছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার ২০২,ব্লক-সি এর গোলাম নবী মোল্লার মেয়ে সিনাত আরা খানম। মামলায় আসামী করেন, গৃহবধূর স্বামী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের বর্তমানে ১৬৯/১,কনকর্ড গ্রান্ড ফ্লোর-১৮,রুম নং-ই শান্তিনগর ঢাকা এর আহম্মদ আলীর ছেলে ফজলুর রহমান, ননদ ঝিকরগাছা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের আহম্মদ আলীর মেয়ে রোকেয়া বেগম ও রোকেয়া বেগমের মেয়ে তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে হনুফা আক্তার।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, ফজলুর রহমানের সাথে বাদির  বিগত ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মুলে ৫লাখ ১ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গৃহবধূ সংসার করার সময় সকল আসামী একত্রে বসবাস করে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী অন্যান্য আসামীদের প্ররোচনায় স্বামী বাদির নিকট জমি কেনার কথা বলে ২০লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং তা গৃহবধূর পিত্রালয় হতে এনে দিতে বলে। বাদি যৌতুকের মোটা অংকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে সকল আসামীরা মিলে বাদিকে প্রতিনিয়ত নিগৃহিত করাসহ শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন করতে থাকে।

গত ১৩ জানুয়ারী গৃহবধূকে উক্ত টাকার জন্য এক বস্ত্রে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়। গৃহবধূ তার পিত্রালয় আশ্রয় নিয়ে স্বামী,ননদ ও ননদের মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও নির্যাতন আইনে মামলা করেন। উক্ত মামলার খবর পেয়ে গত ৯ মার্চ ইফতারীর পর সন্ধ্যা অনুমান ৬ টা ৪০ মিনিটে আসামীরা বাদির পিতৃলয় হাজির হয়ে গৃহবধূকের তার স্বামী নাম ধরে উচ্চস্বরে ডাক দেওয়ার এক পর্যায় গৃহবধূ এগিয়ে গেলে তাকে ঘুষি মারে ও ইলেকট্রিক তার দিয়ে বাদির গলায় পেঁচিয়ে শাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ননদের মেয়ে গৃহবধূর চুলের মুঠো ধরে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। বাদির ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আাসামীরা প্রাইভেট কার যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। গৃহবধূকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহবধূ কিছুটা সুস্থ্যহয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তা আদালতে মামলা করা পরামর্শ দেন। পরে বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করে ।।।

Read more