বিশেষ প্রতিনিধি
শনিবার ২৫ জানুয়ারী যশোর খুলনা মহাসড়কে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী বজলুর রহমান (৪০) নিহতর ঘটনায় ওই দিন রাতে কোতয়ালি থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন নিহতর বড় ভাই যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রাজন আলী বিশ^সের ছেলে হাফিজুর রহমান। মামলায় আসামী করেন ট্রাকের চালক ঝিনেদা সদর উপজেলার হামদহ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের এর ছেলে রাজন মিয়া ও হেলপার ঝিনেদা জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার চরপাড়া গ্রামের খয়বার আলীর ছেলে পলাশ হোসেন। দূর্ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেন। এসময় চালক ও হেলপার ধরা পড়েন। তাদেরকে রোববার ২৬ জানুয়ারী দুুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলায় নিহতর বড় ভাই হাফিজুর বলেছেন, তার আপন ছোট ভাই বজলুর রহমান ব্যবসায়ীক কাজে তার ব্যবহৃত পালসার মোটর সাইকেল যার রেজিষ্ট্রেশন নং যশোর ল-১৪-৭৪৮০) নিয়ে নিজ বাসা হতে রুপদিয়া বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় রুপদিয়া বাজার জনৈক গফুরের গ্যারেজের সামনে রাস্তার উপর পৌছালে একটি বেপরোয়া গতি সম্পন্ন ট্রাক যার রেজিষ্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্টো-ট-১৫-১৩২৪) এর চালক রাজন মিয়া ও হেলপার পলাশ হোসেন দ্রুত গতিতে গাড়ী চালিয়ে বজলুর রহমানের মোটর সাইকেলের পিছনের দিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন গাড়ী চাপা দেয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ও দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ট্রাকসহ চালক রাজন মিয়া ও হেলপার পলাশ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।# পলাশ হোসেন ঝিনেদা জেলার হরিণাকুন্ডু থানার চরপাড়া গ্রামের খয়বার আলীর ছেলে পলাশ হোসেন। নিহতদ্বয়কে রোববার ২৬ জানুয়ারী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#