বিশেষ প্রতিনিধি
যাত্রী সেজে অটো রিকশায় চড়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে কৌশলে চুরি করে পালাবার সময় স্থানীয় জনগনের হাতে মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়না নামে এক চোর ধরা পড়েছে। পরে তাদে গণধোলাই দিলে সে তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের ভগবতিতলার আরুজ আলীর ছেলে নয়ন হোসেন। মামলায় আসামী করেন, যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়না, শহরের শংকরপুর টার্মিনাল এলাকার জনৈক নজুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ফোরকানের ছেলে বাপ্পা ও অজ্ঞাতনামা ১জন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধোলাইয়ের শিকার মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়না কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন অটো রিকশা চালক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় তিনি তার ভাড়ায় চালিত অটো রিকশা দাইতলা থেকে শহরের উদ্দেশ্যে বের করেন। ওই দিন রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় তিনি অটো রিকশা নিয়ে মণিহার মোড়ে অবস্থানকালে ৩জন অজ্ঞাতনামা বাদির নিকটে আসেন। তারা যাত্রী সেজে এসে অটো রিকশা চালককে ধর্মতলা মোড়ে যেতে চাই। তখন বাদি ভাড়ার কথা বললে তারা বাদিকে জানান, বাদিকে লস করাবেনা বলে জানান। তখন বাদি তাদেরকে নিয়ে ধর্মতলায় গেলে তারা পুনরায় অটো রিকশা চালককে নিয়ে চাঁচড়া বাজার যেতে বলে। তখন তাদেরকে নিয়ে চাঁচড়া বাজারে গেলে উক্ত চোর বাদিকে শহরের গোলপাতা মসজিদের সামনে যেতে বলে। বাদি উক্ত ব্যক্তিদের কথা মতো উক্ত স্থানে দাড়ালে অজ্ঞাতনামা ১জন বাদিকে ভাড়া দেওয়ার কথা বলে বাদির রিকশা রাখার স্থান অনুমান ১শ’ গজ দূরে ভাড়া দেওয়ার কথা বলে মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়না ও বাপ্পাদ্বয় বাদির রাখা রিকশা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে পেয়ে দ্রুত ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রিকশাসহ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ময়নাকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে।#
যশোরে উঠতি বয়সের দুই
সন্ত্রাসী ফোল্ডিং চাকুসহ গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের আরএনরোড মসজিদ গলিস্থ ময়দার মিলের সামনে চাকু নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর এক পর্যায় পুলিশ দুই উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের দখল হতে দু’টি ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর শহরের আরএনরোড মহল্লা ( সোনালী বংলাকের পিছনে) শফি মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন হ্যাপি ও শহরের চাঁচড়া রেলগেট এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির ইসলাম জয়।
যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এক এটিএসআই জানান, বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার পর গোপন সূত্রে খবর পান শহরের আরএনরোড মসজিদ গলিস্থ ময়দার মিলের সামনে কতিপয় উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা সমবেত হয়ে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য অবস্থান করছে। উক্ত এটিএসআইসহ একদল পুলিশ রাত সাড়ে ১০ টার পর উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা ইসমাইল হোসেন হ্যাপী ও সাব্বির ইসলাম জয়কে দু’টি ফোল্ডিং ধারালো চাকুসহ গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#
যশোরে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় প্রেমের
প্রস্তাব দিয়ে ফুসলিয়ে অপহরন ঘটনায় মামলা
বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের বেজপাড়া মেইন রোড সংলগ্ন রাস্তা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পড়–য়া শিক্ষার্থীকে অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহরনের ১৫ দিন পর অপহৃতা শিক্ষার্থীর পিতা যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার কালীপদ সাহার ছেলে খোকন সাহা। মামলায় আসামী করেন, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার আটঘরি (বিলপাড়া চকপাড়া জামে মসজিদের পশে পরিমল চন্দ্র দাসের ছেলে সৌরভ দাস ওরফে গৌরভ, একই উপজেলার কালীপদ দাসের ছেলে পরমল চন্দ্র দাস, একই এলাকার পরিমল দাসের স্ত্রী সীমা রানী দাস, রনজিত দাসের ছেলে মিঠুন দাস ও যশোরের কেশবপুর উপজেলার হিরন সরকারসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে অনুশকা সাহা ওরফে কথা যশোর শহরের এমএসটিপি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। প্রায় ৩ মাস পূর্বে সৌরভ দাস ওরফে গৌরভের সাথে সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গৌরভ বাদির নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বাদির নাবালিকা মেয়ে প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষতি করার জন্য প্রায়ই সময় মেয়েকে ভয়ভীতি দেখাতো। কথা বাড়ি হতে স্কুলে যাওয়ার পথে গত ২০ নভেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার সময় বেজপাড়া মেইন রোড সংলগ্ন রাস্তার উপর পৌছালে গৌরভ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা বাদির মেয়ের সহপাঠি মোনালী রাহা ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার কারীর ব্যক্তির সহযোগীতায় কথাকে প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদির মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন তাদের নিকট আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে কোতয়অলি থানায় সাধারণ ডাইরী করেন যার নং ১৮৯০,তারিখ ২৫/১১/২৪ইং। সাধারণ ডাইরীর ভিত্তিতে কোতয়ালি থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাবালিকা মেয়ের সন্ধ্যান পান। থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে বাদিসহ তার স্ত্রী গত ২৬ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার আটঘরি বিলপাড়া চকপাড়া জামে মসজিদের পাশে উক্ত আসামীদের বাড়িতে পৌছালে গৌরভের পিতা,মাতা ও তাদের সহযোগীরা বাদির মেয়েকে তাদের বাড়ি হতে অন্যত্র রাখে এবং কোন তথ্য না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। গৌরভ তার বন্ধু হিরন সরকারের সহায়তায় অপহরণ করে গৌরভ তার পিতা মাতাসহ সহযোগীরা কথাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখে যে কোন ধরনে ক্ষতি করতে পারে বলে বাদি আশংকা প্রকাশ করেছে। পরে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে থানায় এসে মামলা করেন।