যশোরে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?
যশোর প্রতিনিধি 
যশোরের ঝিকরগাছায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর বাগান থেকে সাদিয়া খাতুনের (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১ টার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাগান থেকে গলায় গেঞ্জি পেঁচানো অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাদিয়াখাতুন উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের বাবলুর রহমান বাবুর মেয়ে। সে স্থানীয় নায়ড়া মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। নিহতের বাবা পেশায় শ্রমিক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে প্রতিবেশী চম্পা খাতুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। সে একই গ্রামের আনিসুর মোড়লের মেয়ে। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে পরিহিত জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায় অভিযুক্ত চম্পা মাদকাসক্ত। এর আগে ছোটখাটো চুরি করার ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
নিহত শিশুর দাদা ফজলুর রহমান ফজু জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়াকে তার প্রতিবেশী ফুফু চম্পার সঙ্গে দেখা গেছে।
সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রামবাসী চম্পাকে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর রাত ১টার দিকে বাড়ির পাশে একটা বাশ বাগান থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এসময় তারা চম্পা খাতুনের ওপর তাদের সন্দেহের কথা জানান। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাগান থেকে বুধবার রাত ১টার দিকে শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওসি আরও জানান, আটক চম্পা খাতুন প্যাথেড্রিনসহ নানা ধরনের মাদকসেবী বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদিয়ার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।