যশোরের বাঘারপাড়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি: রোববার উপজেলার বহরামপুর গ্রামের সৈয়দ আলী বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বাদী হয়ে যশোর আদালতে মামলা করেছেন। সালিসের নামে বাঘারপাড়া থানায় ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির দিয়ে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলো, বাঘাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওয়াল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ, বহরামপুর গ্রামের মৃত দেলবর বিশ^াসের তিন ছেলে বদর বিশ্বাস , আলতাফ, সরদ বিশ্বাস ও বদর বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বহরামপুর গ্রামের সৈয়দ আলী বিশ্বাস পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এক দাগের ৭২ শতক জমি রেকর্ডে ভুল হয়। এ সুযোগে আসামিরা দখলের পাইতারা করে। ২০২২ সালের ১ জুন আসামিরা এ জমি তাদের দাবি করে দখল ছেড়ে দিতে বলে। পরবর্তীতে রেকর্ড ভুল হওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়।

আসামিরা জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে আসামিরা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস সহ তার স্বজনদের খুন-জখম করবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার দারস্ত হয়। গত ৩ অক্টোবর আসামি পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে। তাৎক্ষনিত জাহাঙ্গীর বিশ্বাস স্বাক্ষীদের নিয়ে বাঘারপাড়া থানায় যান। সেখানে আগেই থেকে উপস্থিত ছিলে অপর আসামিরা।

আসামি দুই পুলিশ কর্মকর্তা সালিস রুমে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে জাহাঙ্গীরকে। একপর্যায়ে আসামিরা ফাঁকা স্টাম্প বের করে দিলে এএসআই ফিরোজ পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়ে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা, গুম, পাচার মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।