বিশেষ প্রতিনিধি:
গোটা যশোর শহর গিলে ফেলেছে ব্যাটারী চালিত অবৈধ ইজিবাইক ও মটর চালিত অটো রিকশা। যার কারণে প্রতিদিন শহরের কয়েকটি সড়ক এখন যানজটের সড়কে পরিণত হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে সম্পূর্ন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রহীনভাবে শহরে বাইরে থেকে বিভিন্ন যানবাহন ঢুকে পড়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের উপায় আছে কি এমন প্রশ্ন বিভিন্ন পেশার মানুষের?
খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে,যশোর শহরের প্রবেশের মূলত ৮টি পথে প্রতিনিয়ত কয়েকহাজার ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক,মটরচালিত অটো রিকশাসহ ছোটবড় বিভিন্ন চার্জার,মোটর সাইকেল,বাইসাইকেল,ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রবেশ করেছে। যেখানে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যরত সার্জেন্ট,টিএসআই,এটিএসআই,পুলিশ কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করতো। সেখানে এখন আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়না। তাছাড়া,যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা বাইরে থেকে আসা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পূর্ন অবৈধ এসব যানবাহন আরোহীদের প্রবেশে বাঁধা না দেয়ায় ও তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা না করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন, যশোর শহরে প্রবেশের মুখে পালবাড়ী রয়েল কমিউনিটি সেন্টার, আরবপুর মোড়,ধর্মতলা মোড়,চাঁচড়া মোড়,চাঁচড়া কাঁচাবাজার মোড়,চাঁচড়া বাবলাতলা মোড়,শংকরপুর নতুন বাস টার্মিনালের সামনে,মুড়োলী মোড়,মণিহার বাসস্ট্যান্ড, আর এনরোড,ঢাকা রোড বারান্দীপাড়া এলাকার কয়েকটি সড়ক,খাজুরা বাসস্ট্যান্ড,পলিটেকনিক,জেল রোড ডিআইজি রোড, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড,ঘোপ নওয়াপাড়া রোড,পুরাতন কসবা কাঠালতলা মোড় এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রহীনভাবে ঢুকে পড়ছে সম্পূর্ন অদক্ষ চালকের মাধ্যমে সম্পূর্ন অবৈধভাবে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক,মটর চালিত অটো রিকশা,নছিমন,করিমন,ভটবটি,আলম সাধু,বিভিন্ন চার্জার থেকে শুরু করে ছোট বড় যানবাহন। এগুলো শহরের জেল রোড, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়ক,গরীবশাহ সড়ক,মুজিব সড়ক,এমএম আলী রোড,এমকে রোড,শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা,আরএনরোড ও তার আশপাশ এলাকার সড়ক গুলিতে সৃষ্টি করছে ভয়াবহ যানজট। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হওয়া যানজট চলে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত। যানজট নিরসনে কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন সরকারী অফিস গুলোতে যাওয়া চাকুরীজীবী,স্কুল কলেজ গুলোতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক,মটর চালিত অটো রিকশা গিলে ফেলছে গোটা শহর। বর্তমানে যশোর শহরের যানজট দেশের অনেক ব্যবস্তম শহরকে হার মানাবে এমন পরিস্থিতি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়েছে। যশোর পৌরসভা থেকে অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান, অধিক লাভবান হওয়ার আশায় বর্তমানে সিংহভাগ নারী,পুরুষ প্যাটেল চালিত রিকশাকে মটর চালিত অবৈধ রিকশায় পরিনত করেছেন। যার কাগজপত্র নেই বললেই চলে। পায়ে প্যাটেল চালিত রিকশা ও ভ্যান এখন মটর চালিত রিকশা ভ্যানে পরিনত হয়েছে। সম্পূর্ন অবৈধভাবে সৃষ্টি করা ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও মটর চালিত অটো রিকশার মালিকেরা শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা গোডাউনে চার্জ দিয়ে তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শহর ও শহরতলীতে ইজিবাইক ও মটর চালিত অটো রিকশার চার্জের গোডাউন রয়েছে অর্ধশতাধিক। অনেকে বাড়িতে গোডাউন বানিয়ে ইজিবাইক ও অটো রিকশার চার্জের প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন। যানজটের ব্যাপারে যশোর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন মাফুজুর রহমান জানান,ট্রাফিক কার্যক্রমের যথাযথ সংকটময়ের কারনে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া,তল্লাশী কার্যক্রমের অভাবে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বাইরে থেকে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক,মটর চালিত অটোরিকশা,নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন ছোটবড় যানবাহন ঢুকে পড়ায় যানজট সৃষ্টি করছে। যে কোন সময় এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ হবে এমন আশা প্রকাশ করেছন তিনি।