ঘূর্ণিঝড় আসনা যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

ঢাকা টাওয়ার ডেক্স: আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়েছে। শনিবার রাতের মধ্যে এটি ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার আবহাওয়ার এক নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতার কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সাথের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর অন্ধ্র-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অন্ধ্র-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত নাগাদ উত্তর অন্ধ্র-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলীয় অতিক্রম করতে পারে।

এ সময় চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে সকালে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আসনা ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধেও আসনা আঘাত হানতে পারে।

আসনার প্রভাবে গুজরাটের জামনগর, সুরাট, পোরবন্দর, মোরবি, স্বর্কা এবং কুচ জেলায় বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। অতি বর্ষণের জেরে এসব জেলার অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘আসনা’ ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভারতের গুজরাটের ভুজ অঞ্চল থেকে ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে এবং করাচি থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।