যুবদলের সদস্য সচিব নয়নের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকে হামলা করার অভিযোগ

ঢাকা অফিস: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার একদল সন্ত্রাসী এস আলম গ্রুপের পক্ষে জোর করে রাজধানীর দিলকুশা ইসলামী ব্যাংকে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপরে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে কর্মকর্তারা অবস্থান নিলে এ ঘটনা ঘটে।

ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে হামলার ঘটনায় গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকি বিল্লাহসহ পাঁচ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। তারা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপের হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নয়ন ও তার অনুসারীরা এই ব্যাংক দখলে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেন। ব্যাংক দখলে নিতে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। এসময় পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তা তার ছোড়া গুলিতে আহত হন।

এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। টিভির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা থাকায় একটি পক্ষকে সমর্থন জানিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। খোঁজ-খবর নেয়ারও তারা চেষ্টা করছেন।

ইসলামী ব্যাংকের সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সকালে পুরোনো কর্মীরা ঘোষণা দেন। ওই বছরের পরে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার, সে কারণে তারা পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। পুরোনো কর্মীদের ঘোষণার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার কর্মীরা আশপাশে জড়ো হয়ে ব্যাংকের দিকে রওনা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এরপর পুরোনো কর্মীরা পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ছোড়া হলে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকের পুরোনো কর্মীরা গুলি ছোড়ার জন্য পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়ী করেন।