যত দিন দরকার তত দিনই থাকবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

ঢাকা অফিস: যত দিন দরকার, তত দিনই থাকবেন। তবে ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো অভিলাষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

গুগল নিউজে ফলো করুন dhakatowernews24.com অনলাইন

রোববার (১১ আগস্ট) দায়িত্ব নেওয়ার পর সচিবালয়ে অফিস করেন আসিফ মাহমুদ। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম দিনে আমরা তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার প্রথমটি হলো-যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালেয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি-বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবো। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাঞ্জা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।

শপথ নিলেন দুই উপদেষ্টাসহ প্রধান বিচারপতি
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব। আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জোর করে পদত্যাগপত্র আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তার বক্তব্য কী?- জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলনে বাধা দিয়েছেন বা অপরাধ করেছেন, সে জন্য ক্ষোভের জায়গা থেকে, আবার স্বার্থের জায়গা থেকে এমনটা হতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, এটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। তা না হলে বিশৃঙ্খলা হবে।’

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা যুক্ত করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।