ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির অঙ্গসংগঠন ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
এদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাগত বক্তব্য দেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ দল মনে করে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সন্ত্রাস এবং নাশকতা হয়েছে এর পিছনে জামায়াত-শিবির কলকাঠি নেড়েছে। ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব হয়েছে এর মূল কারিগর ছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াত-শিবির।
১৪ দলের নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, জামায়াত-শিবির হলো সন্ত্রাসী সংগঠন। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচার হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নির্বাচন কমিশন যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে সেজন্য এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সময় এসেছে। কারণ একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী যে চরিত্র তা এখনো বদলায়নি।
বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ১৪ দলের বৈঠকে পাস হয়।