আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রয়াত নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরাকের আদালত। বুধবার ইরাকের বিচার বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ইয়াজিদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার’ জন্য এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে কাজ করা এবং ইয়াজিদি নারীদেরকে আটকে রাখার দায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে ইরাকি বিচার বিভাগ দণ্ডিতের নাম প্রকাশ করেনি।
ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা ইয়াজিদি নারীদের নিনেভেহ গভর্নরেটের পশ্চিমে সিনজার জেলায় অপহরণ করেছিল। অফহরণেল পর তাদের মসুলে বাগদাদির স্ত্রীর বাড়িতে বন্দি রাখা হয়েছিল।
আদালতের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ইয়াজিদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও সন্ত্রাসী সহযোগিতার” জন্য ফৌজদারি আদালত বাগদাদির স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
তবে দণ্ড কার্যকরের জন্য ইরাকি আপিল আদালতের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসলামিক স্টেট ২০১৪ সালে আবু বকর আল-বাগদাদিকে ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চলে খলিফা হিসেবে ঘোষণা দেয়, যিনি ২০১৯ সালের নভেম্বরে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন। উম্মে হুজাইফা, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রয়াত নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির প্রথম স্ত্রী। আবু বকর আল-বাগদাদি যখন তাকে বিয়ে করেন, সে সময় সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল এলাকায় আইএস-এর শাসনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। উম্মে হুজাইফা বর্তমানে ইরাকের একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিচার হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আবু বকর আল-বাগদাদি এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য লুকিয়ে ছিলেন। সেখানে অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মহত্যা করেন তিনি। সেই সময় বিস্ফোরণে তার সন্তানরাও মারা যায়। বাগদাদির চার স্ত্রীর মধ্যে দুই স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। উম্মে হুজাইফা তখন ওই ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। তিনি তুরস্কের একটি কারাগারে ছিলেন। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে তুরস্কে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ইরাকে নিয়ে আসা হয়।