হাসারাঙ্গা-শরিফুলদের বোলিং ব্যর্থতায় হারলো ক্যান্ডি

ব্যক্তিগতভাবে ভালো করতে পারেননি শরিফুল ইসলাম। বুধবার গলে মার্ভেলসের বিপক্ষে ২ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন তিনি। আর তাতেই ক্যান্ডি ফ্যালকনসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার হতে হয়েছে তাকে। শুধু শরিফুল নয়, ক্যান্ডির সবার ছন্নছাড়া বোলিংয়ের সুযোগ নিয়েছে গলে। আর তাতেই ক্যান্ডির দেওয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্য ৪ বল আগেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে তারা। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছে গলে। রান রেটে তাদের উপরে জাফনা কিংস।

ডাম্বুলার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারে খারাপ করেনি ক্যান্ডি। দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও দিনেশ চান্ডিমাল মিলে ৪.২ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫৪ রান। ১৪ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন চান্ডিমাল। এরপর মোহাম্মদ হারিস (৮), কামিন্দু মেন্ডিস (৪), দাসুন শানাকা (৪) ও ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (০) ব্যর্থ হলে নিয়ন্ত্রণ হারায় ক্যান্ডি। তবে ওপেনার ফ্লেচারের ৪৩ বলে ৬৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ১৫ বলে ২৯ ও রামেশ মেন্ডিসের ১৪ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ক্যান্ডি ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে।

গলের বোলারদের মধ্যে প্রবাথ জয়াসুরিয়া সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন ৩০ রান দিয়ে। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। এছাড়া ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস নেন দুটি উইকেট।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে গলের দুই ওপেনার নিরোশান ডিকভেলা ও অ্যালেক্স হেলস ৭৬ রানের জুটি গড়েন। ক্যান্ডির বোলারদের তুলোধুনো করে এই দুই ব্যাটার পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন। ওই ওপেনিং জুটির পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্যান্ডি। ২২ বলে ২৫ রান করে ডিকভেলা আউট হন। এরপর টিম সেইফার্টকে সঙ্গে নিয়ে হেলস আরও ২১ রানের জুটি তৈরি করেন। ১৩ বলে ১৬ রান করে সেইফার্ট আউট হলেও সমস্যা হয়নি গলের। বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন হেলস ও ভানুকা রাজাপাকসে। তাদের ৪৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে ৪ বল আগেই ৮ উইকেটের দারুণ জয় পেয়ে যায় দলটি।

রাজাপাকসে ২৬ বলে ৪৬ এবং হেলস ৫৫ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

ক্যান্ডির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শরিফুল। ২ ওভার বল করে সবচেয়ে বেশি ১৪.৫০ ইকোনমি রেট তারা। হাসারাঙ্গা চার ওভারে ২৯ রান দেন, নেন এক উইকেট।