ইরানে দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলি রানঅফ ভোটে লড়বেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট গণনা অনুযায়ী- ভোট পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একমাত্র সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি। তবে তাদের মধ্যে কেউই মোট ভোটের ৫০ শতাংশ পাননি, ফলে নির্বাচন দ্বিতীয় পর্বে বা রানঅফে।

ইরানের নির্বাচনি সদরদপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন এসলামী রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভিতে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী– কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলি রানঅফ ভোটে লড়বেন। আগামী ৫ জুলাই এই রানঅফ ভোট হবে।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সিনিয়র আইন প্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ১৯১ (৪২.৪৫ শতাংশ) ভোট এবং সাবেক প্রধান পারমাণবিক আলোচক এবং শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ (৩৮.৬১ শতাংশ) ভোট।
অন্য দুই প্রার্থী ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ (১৩.৭৮ শতাংশ) এবং ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৭ (০.৮৪ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী জয়ের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আভাস দিয়েছিল ইরানের গণমাধ্যমগুলো।

ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় পর্বে বা রানঅফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

উল্লেখ্য, শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ৮০ জন রাজনীতিবিদ নিবন্ধন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে মাত্র ছয়জনের প্রার্থিতা অনুমোদন করে দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এর মধ্যে শেষ সময়ে দুই প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে চার প্রার্থীর মধ্যেই হচ্ছে এবারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি লড়াই। এবার আগামী ৫ জুলাই হবে দুই প্রাথর্অর মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই।