আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার জন্য প্রথমবারের মতো বিমান থেকে মানবিক সহায়তা পণ্য ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমানের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেট প্যারাসুটের মাধ্যমে ছেড়েছে।
জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত এই অভিযান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার মধ্যে প্রথম। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার ত্রাণের জন্য একটি কনভয় ঘিরে ভিড় করা জনতার মধ্যে গুলিতে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হওয়ার পরে সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন।
গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তির কাঠামো তৈরি হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা শনিবার বলেছিলেন যে ইসরায়েল একটি নতুন যুদ্ধবিরতির চুক্তি ‘কমবেশি গ্রহণ করেছে’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “আজ থেকে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে যদি হামাস দুর্বল জিম্মি (…) অসুস্থ, আহত, বয়স্ক এবং মহিলাদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়।”
মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমানগুলো ভূখণ্ডের উপকূলে ৩৮ হাজারেরও বেশি খাবার প্যাকেট ফেলেছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিশর এবং জর্ডানসহ অন্যান্য দেশ এর আগে গাজায় ত্রাণ পাঠিয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের দুঃখজনক ঘটনা ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ সম্প্রসারণ ও টেকসই করার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, বিমান থেকে ফেলা সাহায্য বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়।
বাস্তুচ্যুত গাজার বাসিন্দা মেধাত তাহের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এ ধরনের পদ্ধতি খুবই অপ্রতুল।
“এটি কি একটি স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? এটি কি ১০ হাজার জনের জন্য যথেষ্ট? ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো ভালো এবং প্যারাসুটের মাধ্যমে এয়ারড্রপ করার চেয়ে ভালো “ বলেন তিনি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, ইসরায়েল আরও বেশি ট্রাক এবং আরও রুট সহজতর করার জোর দাবি করবে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে আরও বেশি সংখ্যক লোককে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া যায়।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে ত্রাণ লরির চারপাশে ভিড় করার সময় ১১২ জন নিহত এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়।
হামাস ইসরায়েলকে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে, তবে ইসরায়েল বলেছে যে তারা সতর্কতামূলক গুলি চালানোর পরে বেশিরভাগই মারা গেছে।