ঢাকা অফিস: রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় বেরাইদে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছেলে ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক বাবার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে দীর্ঘদিন বাবা ছেলে মিলে এই এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা। এমন মৃত্যুর ঘটনায় কেউ কিছু ধারণা করতে পারছেন না। তবে পুলিশের দাবি একে-অপরের প্রতি মান-অভিমান থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বুধবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশে ভরা ঘরের খাটে নিথর পড়ে আছে অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের মরদেহ। পাশের রুমে ফ্যানের সাথে ঝুলছে ছেলে রাকিবের দেহ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রাকিব হোসেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে বাসায় ডাকতে যান পার্শ্ববর্তী এক মুদি দোকানি। কিন্তু বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে এক ঘরের খাটে বাবার শোয়া মরদেহ ও পাশের ঘরে ছেলে রাকিবের ঝুলে থাকা মরদেহ দেখেন তারা।
মরদেহ উদ্ধার করে পরে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি মান-অভিমান থেকে বাবা ছেলের এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী গনমাধ্যমকে জানান, নিহত গিয়াস উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ছিলেন। আর তার ছেলে রাকিব ছিলেন বিদ্যুতের মিস্ত্রি। বাবা ও ছেলে বেরাইদের জেলেপাড়ার একটি বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। রাতে তাদের খবর জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।