আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পারিবারিক অশান্তির কারণে পরিবারের প্রায় সবাইকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইরানি এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিজের পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক। শনিবার দক্ষিণ—পূর্ব ইরানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকটির পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। কেরমান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম হামিদি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলাকারীর পরিবারের মধ্যে দিন কয়েক ধরে ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলাই শনিবার চরমে ওঠে। এরপরই সে এমন রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটনায়।
হঠাৎ করেই বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকেই পরিবারের লোকেদের ওপর হামলা চালান এই যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্দুক বার করে একের পর এক গুলি করেন তিনি। নিজের বাবা ও দাদাসহ পরিবারের মোট ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেন। পুলিশ বলেছে, ঘটনাস্থলেই সবাই মারা গেছেন।
স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জানা গেছে, যখন পুলিশ সেই গ্রামে যায় তখনো অভিযুক্তের হাতে বন্দুক ছিল। পুলিশের দিকে তাক করে গুলিও চালান তিনি। পুলিশ বারবার তাকে ধরা দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু ধরা দিতে রাজি না হয়ে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক।
সেই সময়ই পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করতে পাল্টা গুলি চালালে মারা যান ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, রীতিমতো অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে অভিযুক্ত যুবক হামলা চালিয়েছিলেন পরিবারের উপর। ইরানে এই ধরনের গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কেরমানের সেই গ্রামবাসীদের মধ্যে।