ভুক্তভোগী মো. মাঞ্জুরুল হাসান যবিপ্রবির ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি ও শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টায় আমি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০১ নম্বর রুম থেকে বের হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাকে সালাম না দেওয়া এবং লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় তার সামনে চলাচলের কারণে তার অনুসারী ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রকি (বহিষ্কৃত), শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের (পিইএসএস) ইসাদ হোসেন একই বিভাগের আল-আমিন, মুশফিক ও শেখ বিপুল হাসান, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানাসহ (বহিষ্কৃত) বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন মিলে আমাকে সোহেল রানার নির্দেশে ৩০৮ নম্বর রুমের মধ্যে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে আমার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আমার চিৎকারে হলের অন্য ছাত্ররা এগিয়ে এলে তারা খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অবগত নই। হলের ভেতরে কে লুঙ্গি পরবে আর কে সালাম দিল এ বিষয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে গতকাল (শুক্রবার) আমাদের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসাযেন্স এর কিছু ছেলে আমার রুমের সামনে জুনিয়রদের সাথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আমি ও সাধারণ সম্পাদক ঝামেলা না করে রুমের সামনে থেকে চলে গিয়ে যার যার রুমে বসে আলোচনা করার কথা বলি। কে জিডি করেছে তা আমার জানা নেই, এ বিষয়ে আমি অবগত নই।
শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে মারামারির ঘটনা শুনে আমি আমার সহকারী প্রভোস্টদের নিয়ে হলে আসি। এসে দেখি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবিষয়ে আজ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। হলে অবস্থান করা বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।