মাদারীপুর প্রতিনিধি: অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মাদারীপুরের দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন গোপালগঞ্জের আরেক যুবক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই দুই যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে দুই পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতরা হলেন- উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ ও সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগী।
স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি মামুন শেখ ও সজল বৈরাগীসহ বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরে গত বুধবার লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় রওনা দেন তারা। পথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন ফেটে যায় এবং সেটি ডুবে যায়। এতে মামুন ও সজলসহ মারা যান ১২ জন। পরে খবর পেয়ে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্ট গার্ড।
নিহত মামুন শেখ ও সজল বৈরাগী। ছবি- সংগৃহীত।
এদিকে এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরেক বাংলাদেশি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের পান্নু শেখের ছেলে আপন শেখ।
ব্যাংক ঋণ ও সুদে এনে দালালদের দেয়া টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পান্নু শেখের স্বজনরা।
ফরিদপুরে বাস-বাইক সংঘর্ষ, নিহত একফরিদপুরে বাস-বাইক সংঘর্ষ, নিহত এক
ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত সাতময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত সাত
তাদের অভিযোগ, মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশারফ কাজী ইতালী নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৩-১৫ লাখ টাকা নেন। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালী পাঠালে ঘটে এই দুর্ঘটনা। এই কাজে সহযোগিতা করে মোশারফের ছেলে যুবরাজ কাজী। এমন ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার আসাদ জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।