দুই মামলায় আপিল বিভাগে জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক আরো মামলা থাকায় মুক্তি মেলছেনা

ঢাকা অফিস: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা দুই মামলায় আপিল বিভাগেও জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্ট্যান্ডওভার রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তাঁর দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। এর আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এরপর ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।