যশোরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা

যশোর অফিস: যশোরে প্রবাসীর স্ত্রীকে (৩৬) দিন দুপুরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে যশোর  কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলাটি করেন,যশোর সদর উপজেলার দেয়াপাড়া সাহাপাড়া গ্রামের ওমান প্রবাসীর স্ত্রী। মামলায় আসামী করা হয় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে রকিব মেম্বরের ছেলে মনোয়ার হোসেনকে।

মামলায় গৃহবধূ করেন,তার স্বামী ওমানে থাকে। গত ৩ বছর যাবত গৃহবধূর স্বামী ওমানে চলে যায়। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর গৃহবধূ তার বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে। মেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করেন। বাদির স্বামীর বাড়ির পাশে একটি মুদী দোকান আছে। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর গৃহবধূ নিজেই দোকান পরিচালনা করেন। আসামীর বাড়ি বাদির বাড়ির পাশপাশি হওয়ায় লম্পট মনোয়ার হোসেন প্রায়ই সময় গৃহবধূর দোকানে আসা যাওয়া করতো। সেই সুবাদে গৃহবধূর সাথে মনোয়ার হোসেনের পূর্ব পরিচিত। গৃহবধূর স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে লম্পট যুবক গৃহবধূকে প্রায়ই সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। লম্পটের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল। গত ২৮ জানুয়ারী সকাল ৭ টায় বাদির বড় মেয়ে স্কুলে যায়। এর পর মনোয়ার হোসেন বাদির বাড়িতে এসে  জানায়,গৃহবধূর বড় মেয়ে দাঁতের যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করছে। বাদি তৎক্ষনিক সংবাদ পেয়ে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে উক্ত আসামীর মোটর সাইকেলে চড়ে বাড়ি হতে মেয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। দুপুর ১ টায় মোটর সাইকেলটি সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা ইউনাইটেড গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লম্পট তার মোটর সাইকেলটি থামায়। কোন কিছু না বলে গৃহবধূকে টানা হেচড়া করে কলেজের পিছনে কুল ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে ধাক্কা মেরে গৃহবধূকে ফেলে দিয়ে এবং শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দেয়। তখন গৃহবধূ ডাক চিৎকার দিলে উল্লেখিত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা  ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে আসামী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গৃহবধূ উদ্ধার হয়ে বাড়িতে যেয়ে ঘটনা খুলে বলে। পরে পারিবারিকভাবে আলোচনা করে থানায় এসে মামলা করেন।