যশোরের জহির হত্যা মামলায় স্ত্রী সেফালি ও তার প্রেমিক রবিউলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরের বকচরের ওষুধের দোকান কর্মচারী জাহির হাসান হত্যা মামলায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম।মামলার তদন্ত শেষে তিনি আদালতে  চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলো নিহত জহির হাসানের স্ত্রী শেফালি খাতুন ও তার প্রেমিক শহরের শংকরপুর জমাদার পাড়ার রবিউল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জহির হাসান গাজী বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তিনি একই এলাকার শান্তা রাণী কুন্ডুর বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। জহিরের স্ত্রী শেফালির সাথে আসামি রবিউল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় জহিরের সাথে তার স্ত্রী প্রায় ঝগড়া হতো। চলতি বছরের গত ৯ মে জহির হাসান মারা গেছে বলে সংবাদ পান স্বজনেরা। জহিরের মরদেহ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ নিহতের স্ত্রী শেফালিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় নিহত জহিরের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জহির হাসানের স্ত্রী শেফালি বেগমের সাথে রবিউলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি পরে জহির হাসান জানতে পারায় সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ফলে জহিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে রবিউল ও শেফালী। শেফালী একটি হাসপাতালে কাজ করায় ইঞ্জেকশনের সাথে এসিড পুশ করে হত্যাকান্ডটি নিশ্চিত করতে হবে বলে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রবিউল ব্যাটারির এসিড এনে দেয় শেফালীর কাছে। শেফালী হাসপাতাল থেকে সিরিঞ্জ নিয়ে আসে। ঘটনার দিন ৯ মে দুপুর আড়াইটার দিকে জহিরকে পানিতে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ সেবন করায় শেফালী। ঘুমের ওষুধে অচেতন হয়ে পড়লে জহিরের হাতের শিরায় সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড পুশ করে শেফালী। এই ভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা দু’জন।

এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দুইজন যশোর জেল হাজতে আটক আছে।