যশোর শহরে কাজী নাবিলের নেতৃত্বে নৌকার বিশাল প্রচার মিছিল

যশোর অফিস 

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আজ বিকেলে যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক নিয়ে শহরে বিশাল প্রচার মিছিল করা হয়েছে।

যশোর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন, যশোর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলের নেতাকর্মীরা ঢোল, ঢাকর, ভুভুজেলা, মোটর সাইকেল নিয়ে প্রচার মিছিলে অংশ নেন।

পূর্বেই ঘোষণা দেয়া হয় বিকেল তিনটায় যশোর শহরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠ থেকে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে প্রচার মিছিল বের করা হবে।

সেই মোতাবেক দলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ব্যান্ড পার্টিসহ ছোট ছোট মিছিল সহকারে টাউন হল মাঠে সমবেত হতে থাকেন। একইসাথে দলের নেতাকর্মীরা টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে দাঁড়িয়ে জননেতা কাজী নাবিল আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীক নৌকা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও কাজী নাবিল আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো যশোর সদরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তৃতা করতে থাকেন।বিকেল ৫টার দিকে মঞ্চে উপস্থিত হন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও এই আসন থেকে দলের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ও তার স্ত্রী ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ।টাউন হল মাঠের বিশাল জনস্রোতে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারও নৌকা দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি যেন আপনাদের হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, আমাদের জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, পৌর কমিটি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। একসাথে কাজ করলে সদর আসনসহ যশোরের ৬টি আসনের নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে কাজী নাবিল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সকলকে বলেছেন-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।শেখ হাসিনার শাসন আমলে দেশের প্রভূত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য গত দশ বছর আমি যশোর সদর আসনে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। এই সময়কালে জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শেখ হাসিনা সফটওয়ার আইটি পার্ক, দুই শয়ের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন সংস্কার ও নূতন ভবন তিদর করে দিয়েছেন, মহাসড়কগুলো সংস্কার করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় সারাবিশ্বে এই দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আর মাত্র ২০ দিন আমরা ছোটখাট সকল ভেদাভেদ, অনৈক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আমাদের সবারই মার্কা কিন্তু নৌকা, তাই নৌকার পক্ষে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনি।

তিনি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান মিন্টু, যুবনেতা সৈয়দ মেহেদি হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল, মহিলা লীগের সভাপতি লাই্জু জামান, যুবলীগ নেতা অশোক বোস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ সরদার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

মিছিলে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, আওয়ামী লীগনেতা খায়রুজ্জামান রয়েল, ফরিদ আহমেদ কচি, সুখেন মজুমদার,  শ্রমিক লীগের সভাপতি জবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

বিশাল এই প্রিচার মিছিলটি শহরের টাউন হল মাঠ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।