যশোরে ২০লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের ষষ্টিতলা পিটিআই রোডস্থ ই,এফ,আই ইলেট্রিক কোম্পানী লিমিটেড এর মালিক  প্রতারক আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কোম্পানীর ইলেকট্রিক সামগ্রী মালামাল বিক্রি ও ব্যবসা করার জন্য অগ্রিম নগদ ২০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সময় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার বড়কান্দা গ্রামের বর্তমানে কুমিল্লা দেবিদ্বার থানাধীন জাফরগঞ্জ বাজারে আলফাইয়াজুল এন্টার প্রাইজ নামীয় দোকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম। মামলায় আসামী করেন,যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পুরান্দপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পিটিআই রোডস্থ ই,এফ, আই ইলেট্রিক কোম্পানী লিমিটেড এর মালিক ফারুক হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,যশোর শহরের ষষ্টিতলা পিটিআই রোডে ই,এফ,আই ইলেট্রিক কোম্পানী লিমিটেড ডিপো হোল্ডার আাশিকুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। চলতি বছরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমানিক ১১ টায়  ডিপো হোল্ডার এর অফিস কক্ষে  মালিকের সাথে বাদির কোম্পানীর ইলেকট্রিক সামগ্রী মালামাল ক্রয় ও ব্যবসা করার জন্য মৌখিকভাবে চুক্তি করে। চুক্তির সময় বাদির সাক্ষীদের সামনে বাদি নগদ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর বাদি আসামীর অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড যশোরের তার হিসাব শাখায় বিভিন্ন তারিখে সর্ব মোট ২০লাখ টাকা দেয়। উক্ত টাকার বিপরীতে আশিকুর রহমান বাদিকে কোন মালামাল দেয় নাই। এ ব্যাপারে স্থানীয় আসামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিকটে এক শালিস মিটিং বৈঠকে আসামী বাদির উক্ত টাকার বিপরীতে ১০লাখ টাকার চেক গত ১৫ নভেম্বর ও ১০লাখ টাকার চেক গত ৫ ডিসেম্বর প্রদান করেন। বাদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে হাজির হয়ে চেক দু’টি আসামীর হিসাব নাম্বারের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে উক্ত নাম্বারের  বিপরীতে যথেষ্ট পরিমানের টাকা নেই বলে বাদি জানে। আশিকুর রহমান বাদির সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাদি আসামীর প্রতিষ্ঠানে কয়েকবার এসে টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ৩ টায় আসামীর প্রতিষ্ঠানে বাদি যেয়ে তার উক্ত ২০লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামী টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। আসামী বাদিকে বলে পারলে আদায় করার হুমকী দিয়ে মারপিটের হুমকী দেয়। আসামী বাদিকে তার পাওনা টাকার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী অব্যাহত রেখেছে বলে বাদি মামলায় উল্লেখ করেন।