যশোরে ব্যবসায়ীর কাছে সংবাদকর্মী দাবি করে চাঁদা নিতে এসে গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবি করায় শেখ মোজাম্মেল হোসেন রাতুল (৩৬) নামে এক ভূয়া সাংবাদিককে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮ টায় শহরের এম.কে.রোডস্থ সন্ধ্যানী সুপার মার্কেটের নিচতলায় কোকো মোবাইল শপ নামক দোকানে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শহরের ২৭ লোন অফিস পাড়ার মৃত  আব্দুল ওহাবের ছেলে শেখ মহব্বত আলী টুটুল বুধবার ১৩ ডিসেম্বর  রাতে কোতয়ালি থানায়  গ্রেফতারকৃত ও পলাতক অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে মামলা করেন। ভূয়া সংবাদকর্মী  রাতুল ঢাকা জেলার সাভার থানার গেন্ডা (আনন্দপুর বি-৪০,সাভার পৌরসভা) এলাকার মৃত শেখ সাইফুর রহমানের ছেলে।
মামলায় টুটুল উল্লেখ করেন, ৩৬ এম কে রোডস্থ সন্ধ্যানী সুপার মার্কেট এর নীচতলায় তার কোকো মোবাইল শপ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  আছে। তিনি গত ১০ আগষ্ট বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। যার নম্বও ৪৯, তারিখ ১০/০৮/২৩ ইং ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর তদন্তাধীন রয়েছে। রাতুল ১৫ দিন পূর্বে বাদিকে কথিত অনলাইন পোর্টাল বিসিএন নিউজ ২৪” সাভারের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাদির দায়েরকৃত কোতয়ালি থানার মামলা নং ৪৯, ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড মামলা সংক্রাৗেল্প তথ্য সংগ্রহের জন্য বাদির সাথে দেখা করতে চাইলে বাদি  তাকে অফিসে আসার জন্য বলেন। বাদির অফিসে এসে রাতুল বাদিকে তার দায়েরকৃত মামলা সংক্রান্তে অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে। কৌশলে আসামী বাদিও নিকট চা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দাবি করেছিল। বাদি আসামীকে বলে তিনি কোন অবৈধ ব্যবসা কিংবা বাদিও এমন কোন অবৈধ সম্পত্তি নেই । যার ধরুন বাদি  বাদি আসামীকে টাকা দিবেন। টাকা চাইলে বাদির সন্দেহ হয়।  ধৃক আসামী  প্রকৃতপক্ষে কোন সাংবাদিক কিনা যাচাই করার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকসহ যশোর প্রেসক্লাবের একজন কর্মকর্তাকে অবগত করালে তিনি বাদিকে জানান
সাংবাদিক হতে হলে তাকে সরকারি অনুমোদিত কোট পোর্টাল কিংবা সংবাদপত্রের সাংবাদিক হতে হবে। অনলাইন যাচাই করে বাদি জানতে পারেন যে, রাতুল সরকার অনুমোদিত কোন পোর্টালের সাংবাদি নয়। ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় কোকো মোবাইল শপ নামক  দোকানে বাদি তার অফিসের কাজে  ব্যস্ত ছিলেন। তখন ধৃত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদির উল্লেখিত দোকানে গিয়ে উপস্থিত হয়। বাদির পূর্বের দায়েরকৃত মামলা সংক্রান্তে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়  বাদিকে বলেন তাকে যদি ৩লাখ টাকা না দেই তাহলে বাদিও সম্পর্কে জাতীয় পত্রিকা,স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করবে। বাদি ধৃত  রাতুলকে বলে সাংবাদিক হলে সাংবাদিকতার কার্ড দেখান। কিন্তু আসামী বৈধ কোন সাংবাদিকতার কার্ড দেখাতে পারেনি। অহেতুক বাদিকে সংবাদ কর্মীর পরিচয় দিয়ে বাদির নিকট চাঁদা দাবি করে্েরছন। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে রাতুল চাঁদার দাবিতে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। তখন বাদি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাতুলকে আটক করে। এ সময় তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জন কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তৎক্ষনিক থানা পুলিশে সংবাদ দিলে থানা পুলিশের একটি টিম বাদির অফিসে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের  এক পর্যায় আসামীকে হেফাজতে নেন। ঘটনার বিষয় স্থানীয় লোকজন এসে আসামী রাতুলকে ভূয়া সাংবাদিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় চাঁদাবাজী আইনে মামলা হয়। দুপুরে চাঁদাবাজি মামলায় রাতুলকে আদালতে সোপর্দ করে। রাতুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।