যশোরে থানা মামলা নিতে অনীহার কারনে আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
থানা কর্তা কর্তৃক মামলা নিতে অনীহার কারণে বিভিন্ন কারনে হামলার শিকার ব্যক্তিবর্গ আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে থানা কর্তা মামলা গ্রহন করছে। ফলে থানা কর্তার কার্যক্রম নিয়ে জনগনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শুকবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় জমি জমা সংক্রান্ত হামলা ও মারপিটের ঘটনায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কোতয়ালি থানা যশোরের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ইমরান আহম্মেদ এর নির্দেশে মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৮,তারিখ ৯ ডিসেম্বর রাত ১২ টা ১০মিনিট। মামলাটি করেন, যশোর সদর থানার রুপদিয়া গ্রামের মধু বক্স মোড়লের স্ত্রী মোছাঃ ফিরোজা বেগম। মামলায় আসামী করা হয়, একই গ্রামের এজাহার মোড়লের ছেলে জীবন,একই এলাকার মৃত আমানত মোড়লের ছেলে এজাহার মোড়ল ও এজাহার মোড়লের স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,বাদী একজন সহজ-সরল শান্তিপ্রিয়,সুনাগরিক,অসহায় গৃহবধূ। আসামীরা দুর্দান্ত,দাঙ্গাবাজ ও পরসম্পদলোভ শ্রেনীর ব্যক্তি। বাদি ও আসামীদের বসবাস একই গ্রামে এবং আাসমীগন বাদির জ্ঞাতী সম্পর্কীয় হচ্ছে। বাদি ও আসামীগনের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোদ দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে। উক্ত বিরোধের কারনে বাদির সাথে আসামীদের সম্পর্কের তিক্ততা সৃষ্টি হচ্ছে। আসামীদের সাথে ইতিপূর্বে বাদির বহুবার কলহ সৃষ্টি হয়। যা স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় মীমাংসা হয়ে গেছে। উক্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা গত ১৭ নভেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ৯ টায় সকলে হাতে ধারালো অস্ত্রসহ বাদির সাথে বাড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বাদির ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। বাদির সাথে আসামীদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আসামীগণ বাদিকে কিল ঘুষি মারতে মারনে টানা হেচড়া করে বাদির বাড়ির সামনে রাস্তায় নিয়ে যায়। সে সময় এজাহার মোড়লের হুকুমে জীবন ধারালো দা দিয়ে বাদির মাথার মাঝখানে কোপ মেরে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। বাদি মাটিতে পড়ে গেলে এজাহার মোড়ল ও ফাতেমা বেগম বাদির শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক কিল ঘুষি মেরে নীলা ফোলা জখম করে। ফাতেমা বেগম বাদিকে টানা হেচড়া করে বিবস্ত্র করে ফেলে।বাদির ডাক চিৎকারে বাদির মেয়ে লিপিসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে এজাহার মোড়ল লিপির বুকে লাথি মেওে জখম করে। স্থানীয় লোকজন বাদিকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করে। আসামীরা যাওয়ার সময় বাদির পরিবারকে পাইলে জানে মেরে ফেলবে।বাদি হাসপাতালে বিশ্রামরত থাকেন। বাদি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগত বাদিকে আসামীদের সাথে আপোষ মিমাংসার কথা বলেন। মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বাদি গত ৪ ডিসেম্বর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক কোতয়ালি থানা কর্তাকে মামলা হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। গত ৮ ডিসেম্বর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক ইমরান আহম্মেদ নির্দেশে সকালে কোতয়ালি থানায় সুমাইয়া জামান বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলা নং ২৫,তারিখ ৮ ডিসেম্বর। মামলায় আসামী করা হয় ৪জনকে। ৮ ডিসেম্বর সকালে আদালতে বিজ্ঞ বিচারক ইমরান আহম্মেদ এর নির্দেশে সদর উপজেলার চাঁদপাড়া পূর্বপাড়ার জনি হোসেন বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলা নং ২৬, তারিখ ৮ ডিসেম্বর। সূত্রগুলো বলেছেন,কোতয়ালি থানা এলাকার শহর ও বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন কারনে হামলা,মারপিটসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটনায় কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ঘটনা তদন্ত হিসেবে একজন এসআইকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর সংশ্লিষ্ট এসআই তদন্তর নামে বাদি ও বিবাদির কাছ থেকে সুবিধা গ্রহন করে। যার ফলে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত না হওয়ায় হামলার শিকার বাদি আদালতের স্মনরাপন্ন হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। যার ফলে থানা কর্তার কার্যক্রম নিয়ে জনসাধারনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছেl