আমদানি বন্ধে পেয়াজের দাম এক লাফে দ্বিগুন

যশোর প্রতিনিধি
আবারও ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় যশোরের বাজারগুলোতে একলাফে পেয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।
রাতারাতি গুদামগুলো থেকে পেয়াজ গায়েব করে দিয়েছে অসাধু ব্যাবসায়িরা। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে নাভিশ্বাস। কাঁচা বাজারে ১৯০ থেকে ২১০টাকা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেয়াজ। দাম আরো বাড়াবে বলে জানান বিক্রেতারা। এর আগে পেয়াজের কেজি ছিল ৯০ থেকে ১১০ টাকা।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যাসহ বিভিন্ন কারনে পেয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাতে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলেও দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানানো হয়েছে। তবে পূর্বের এলসির পেয়াজ ৫ জানুয়ারী পর্যন্ত রফতানিতে থাকছে শিথিলতা।
 গত আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শূল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করে ভারত।এরপর ২৮ অক্টোবর পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ৮০০ ডলারে বেঁধে দিয়ে আদেশ জারি করে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার জানানো হয়, ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের ওই সীমা আরও তিন মাস, অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর রপ্তানিই বন্ধ করার ঘোষনায় দাম বেড়ে চলেছে।
 স্থানীয় বজারের পেয়াজ বিক্রেতা মশিশার রহমান ও মোমিন উদ্দিন বলেন, বেশীদামে মোকাম থেকে কিনতে হচ্ছে পেয়াজ। আড়ৎ ব্যাবসায়িরা চাহিদামত পেয়াজ বাজারে ছাড়ছে । এজন্য বাড়ছে দাম।
বেনাপোল স্বলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান ১মাসের মধ্যে বম্দরে আসেনি কোন পেয়াজ। তবে ভোমরা দর্শনাপোর্ট দিয়ে পেয়াজ বেশী আমদানি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। দেশীয় পেয়াজ আমদানি বাড়লে দাম কমার আশা করেন তিনি।
এদিকে রাতারাতি আসাধু ব্যাবসায়িরা পেয়াজের দাম বাড়ালেও প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় বাজার আরো চড়া হতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।