যশোরে পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে  যুবককে অপহরনের অভিযোগে মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
পাওনা টাকা চাওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা টিউবওয়েল মিস্ত্রীর ছেলে ফয়সাল হোসেনকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা ও লাশ গুমের উদ্দেশ্যে অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের শেখ মোতুল্লা ফারাজীর ছেলে আনোয়ার হোসেন। মামলায় আসামী করেন, একই এলাকার হারুন হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন, সহোদর জাকির হোসেন, মাহিম হোসেন, মোকলেচ হোসেনের ছেলে বাবু।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,বাদি একজন টিউবওয়েল মিস্ত্রী। আসামীরা অপহরনকারী,নির্যাতনকারী,ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেটের সদস্য।বাদি ও আসামীদের বাড়ি একই গ্রামে। হারুনের কাছে বাদির ধারকৃত ২০ হাজার টাকা পাওনা থাকে। বাদি তার পাওনা  উক্ত টাকা চাইলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়। উক্ত ক্ষিপ্ততার বশবতী হয়ে এলাকার চিহ্নিত ইজিবাইক চোর বাবু এর নেতৃত্বে  গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় জুয়েলসহ আসামীরা দুই মোটর সাইকেল যোগে বাদির ছেলে ফয়সাল হোসেনকে রুপদিয়া টু নরেন্দ্রপুর রোডের খাঁ বাড়ির সামনে থেকে  পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও লাশ গুমের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে জুয়েল হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। ফয়সাল হোসেনের কাছে থাকা মোবাইল ফোন আসামীগন বন্ধ করে দেয়। ফয়সাল হোসেনকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিতে থাকে। আসামীগন জুয়েল হোসেনের ঘরে ফয়সাল হোসেনকে আটকে রেখে নির্যাতন করে। জুয়েল কেচি গরম চুলায় দিয়ে বাদির ছেলের উরুতে, ডান পায়ের গুড়ালিতে  ডান হাটুর নীচে পোড়া শেক দেয়। অন্যান্য আসামীরা জিআই পাইপ দিয়ে ফয়সাল হোসেনের সমস্ত শরীরে নির্যাতন করতে থাকে। আসামীরা মধ্যরাতে মাদক সেবন করে এবং ফয়সাল হোসেনকে নির্যাতন করতে থাকে। আসামীরা রাতে মাদক সেবন করে অচেতন  হলে ফয়সাল হোসেন ফজরের আযানের পর কৌশলে আসামীদের  জিম্মিদশা হতে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে এসে বাদিসহ পরিবারের সকলকে জানায়। ফয়সাল হোসেনকে উদ্ধার করে তার পিতা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা  রেকর্ড না করায় আদালতের স্মরনাপন্ন্ হলে আদালতের নির্দেশে মামলা হয়।