যশোরে জামাতা ও তার ভাই,মায়ের নির্যাতনের ঘটনায় মামলা,গ্রেফতার-২

যশোর প্রতিনিধি
মেয়েকে আহত অবস্থায় স্বামীর বাড়ি হতে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে জামাতা ও তার ভাই এবং মায়ের হাতে কামাল হোসেন (৩৭) নামে এক ব্যক্তিসহ চারজন আহতর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ৬ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন,যশোর সদর থানার বাহাদুরপুর স্কুলপাড়া গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে কামাল হোসেন। মামলায় আসামী করেন, সদর থানার হুদা রাজাপুর গ্রামের মৃত মোকাম হোসেনের ছেলে জামাতা পলাশ হোসেন, জামাতার ভাই রাকিব হোসেন ও মাতা মোছাঃ বুলবুলি বেগম। পুলিশ জামাতা  পলাশ হোসেন ও তার সহোদও রাকিব হাসানকে গ্রেফতার কওে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, পলাশ হোসেনের সাথে বিগত ৫ বছর পূর্বে বাদির মেয়ে মুসলিমা বেগম (২৩) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর মুসলিমা বেগমের গর্ভে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। যার বর্তমান নাম সিয়াম হোসেন (৩)। বিয়ের পর থেকে পলাশ হোসেন বিভিন্ন সময় বাদির মেয়েকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বাদির মেয়ে তার পূত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শত নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে পলাশ হোসেনের সাথে ঘরসংসার করতে থাকে। গত ৫ ডিসেম্বর রাত অনুমান ৯ টায় বাদির মেয়ে তার শ^শুর বাড়িতে থাকাকালীন সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে উল্লেখিথ আসামীরা মেয়ের শরীরের বিবিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে ফোলা জখম করে গুরুতর আহত করেন।বাদির মেয়ের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদির মেয়েকে অবৈধভাবে আটক করে রাখে। বিষয়টি বাদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে জগমোহনপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, রিতু বেগম, বাহাদুরপুর গ্রামের সুমন হোসেন বুধভার ৬ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায় হুদা রাজাপুর গ্রামে আসামীদের বসত বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে আহত অবস্থায় দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে চাইলে আসামীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। আলোচনার এক পর্যায় আসামীরা অতর্কিতভাবে বাদিসহ তার লোকজনের উপর আক্রমন করে বাদি, ইমরান হোসেন,রিতু বেগম,সুমন হোসেনদের মারপিট শুরু করে ফোলা জখম করে। পলাশ হোসেন হত্যার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে ধারালো দা নিয়ে বের হয়ে বাদির মাথায় কোপ মারতে গেলে বাদি বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে উক্ত কোপ বাম হাতের মধ্যে আঙ্গুলে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। তখন বাদির সাথে থাকা ইমরান হোসেন ঠেকাতে গেলে মোছাঃ বুলবুলি বেগম হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে বাদির মাথায় স্বজোওে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন বাদিসহ তার সঙ্গে থাকা সকলে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদির পরিবারকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকী প্রদান করে। বাদির পরিবার স্থানীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকারী র্কমকর্তা এজাহার আসামী  পলাশ হোসেন ও তার সহোদর রাকিব হোসেনকে  বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।