নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে নারী চাতাল শ্রমিক স্ত্রী লাইলী বেগমকে (৪৮) জবাই করে খুনের ঘটনায় তার স্বামী আমজাদ হোসেন (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার ৬ডিসেম্বর রাত আট টার দিকে নওগাঁ শহর থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং হত্যা কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। বিষয়টি বৃহস্পতিবার ৭ডিসেম্বর দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেন জেলার মান্দা থানার পার-এনায়েতপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, মহাদেবপুর থানার বাগাচারা গ্রামের আব্দুর রহমানের ভাড়া চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো নিহত লাইলী বেগম। আর সেখানে শ্রমিকদের থাকার একটি ঘরে বাস করতো তারা স্বামী-স্ত্রী। দাম্পত্য কলহ বিবাদের কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমজাদ হোসেন ধারালো বটি দিয়ে লাইলী বেগমকে গত ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপরের দিন ৩ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চক-গৌরী এলাকায় ধানের চাতাল থেকে লাইলী বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত লাইলী বেগমের ভাই আব্দুস সামাদ প্রামানিক বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলার মূল আসামীকে গ্রেপ্তার এবং মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর হয়। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার রাশিদুল হকের দিকনির্দেশনায় মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই জিয়াউর রহমানসহ গোপন সূত্রে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাতে নওগাঁ শহর আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করে।
এবিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ হোসেন দাম্পত্য জীবনের কলহের কারণে চাতালে তাদের শয়ন ঘরে ধারালো বটি দিয়ে তার স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
