যশোরে ৪ এমপির নির্বাচনী হলফনামা

যশোর প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরে আওয়ামীলীগের ৬ জন এমপির মধ্যে ৪ জন এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এই ৪জন এমপির একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখ যায় গত ৫ বছরেও বাড়েনি যশোর ১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের জমি ও স্বর্ণালংকারের দাম।
আয় বাড়লেও ঋণে জর্জরিত যশোর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। যশোর ৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যর আয় না বাড়লেও নিজের স্ত্রী ও ছেলের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুন এবং যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের আয় কমলেও বেড়েছে সম্পদ।
গত ৫ বছরেও বাড়েনি শেখ আফিলের জমি ও স্বর্ণালংকারের দাম।
গত ৫ বছরেও বাড়েনি যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীনের জমির পরিমাণ ও দাম। একই অবস্থাও স্বর্ণালংকারের। তবে বেড়েছে ব্যবসায়ীক আয় ও সম্মানী। সেইসাথে বেড়েছে মূলধন ও গাড়ি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামার তথ্য মতে গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪১ টাকার। অবাক হওয়ার বিষয় দেশের স্বনামধন্য শিল্পপতি প্রয়াত শেখ আকিজ উদ্দীনের ছেলে শেখ আফিল উদ্দীনের মোট সম্পদের পরিমান মাত্র ৫৩ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ১৮৫ টাকা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামার তথ্য মতে শেখ আফিলের বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। গত ৫ বছরে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৮ টাকায়। মূলত ব্যবসা ক্ষেত্রে তার আয় বেড়েছে বলে হলফনামায় দেখানো হয়েছে। পূর্বে এ আয় ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫৮ টাকা। বর্তমানে আয় ৭ কোটি ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৫২৬ টাকা।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্মানী ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীক মূলধন ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা। ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪০ টাকা মূল্যের গাড়ি ছিল তার। যা বেড়ে বর্তমানে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৯ টাকা।
তবে তার স্থাবর সম্পতি হিসেবে দেখানো জমির পরিমাণ, স্বর্ণালংকার ও তার দাম গত ৫ বছর ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজ নামে ৩৫৩৮.৭৫ শতক জমি ও ৬টি বাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছিলো ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৩২৩৫ শতক জমি ও ফ্লাটের মূল দেখানো হয়েছিল ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ টাকা। এছাড়া স্বর্ণালংকার দেখানো হয়েছিল ৬০ তোলা। যার মধ্যে ১৫ তোলার মূল্য দেখানো হয় ২২ হাজার টাকা। বাকীটা উপহার। অথচ গত ৫ বছরের ব্যবধানে দেশে জমি ও স্বর্ণালংকারের দাম বেড়েছে হুহু করে।
আয় বাড়লেও ঋণে জর্জরিত বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আয় ও অস্থাবর সম্পত্তি বাড়লেও ঋণে জর্জরিত যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। গত ৫ বছরের তিনি কেবল ব্যবসায়ীক কারণে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে তার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ টাকায়। নির্বাচন কমিশনে তার দাখিলকৃত একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিলো ১ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪২৯ টাকা। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮১ টাকা। নিজের অস্থাবর সম্পত্তি ছিলো ২০ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৯ টাকার, স্ত্রীর ছিলো ৬ কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৭০ টাকা, সন্তানের সঞ্চয়পত্র ছিলো ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬৪ টাকা। এছাড়া স্বর্ণ ছিলো ৮৮.২০ তোলা। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। সদ্য দাখিলকৃত হলফনামায় দেখা যায় কাজী নাবিলের নিজের অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬৫ টাকায়, স্ত্রীর অস্থাবর সম্পাদ বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৭ টাকা ও সন্তানের সঞ্চয়পত্র বেড়ে হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৩ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ৮৮.২০ তোলা। তবে তার মূল্য দেয়া হয়নি।
এছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় কাজী নাবিলের স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে অকৃষি জমি ছিলো ২ কোটি ২৩ লাখ ৩৭ হাজার ১০৪ টাকার ও ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ টাকা মূল্যের একটি এপার্টমেন্ট ছিলো। স্ত্রীর নামে ছিলো ২ কোটি ১০ হাজার ৭৬৩ টাকার একটি বাড়ি ও যৌথ মালিকানায় ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকার সম্পদ ছিলো। দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় নিজের স্থাবর সম্পত্তি কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৬ টাকায়।
এছাড়া কাজী নাবিল আহমেদ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নামে ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন। বর্তমানে সে ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ টাকায়।
সদ্য দেয়া হলফনামা মতে, বিপুল অংকের ঋণে জর্জরিত ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংগঠক এ সংসদ সদস্য মাত্র ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ২২৬ টাকার সম্পদের মালিক।
প্রতিমন্ত্রী স্বপনের আয় না বাড়লেও নিজের ও বউ-ছেলের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুন
স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে বার্ষিক আয় আহামরি না বাড়লেও বেড়েছে তার অস্থাবর সম্পত্তি। গত ৫ বছরে স্ত্রী ও সন্তান হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। নির্বাচন কমিশনে তার দাখিলকৃত একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ৩২ লাখ ৯৭৮ টাকা। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮১ টাকায়। অথচ তার ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪০৮ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার ৫৩৪ টাকায়। গোপন করা হয়েছে রাজউকে থাকা প্লটের তথ্য।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা মতে, স্বপন ভট্টাচার্য্যরে স্থাবর সম্পত্তি ছিলো পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া চার বিঘা জমি। যার কোন মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র লালদীঘির পাড় এলাকায় পৌনে ৯শতক জমিসহ ৪তলা বাড়ি, যার মূল্য ৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এবং মণিরামপুরে ৮০০ স্কয়ার ফুটের দ্বিতল বাড়ি, যার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।
এছাড়া রাজউকে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্লট।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় রাজউকের প্লটের তথ্য ছাড়া পূর্ববর্তী নির্বাচনের হলফনামা হুবুহু বিবরণ দেয়া হয়েছে। অথচ গত ৫ বছরের তার স্থাবর সম্পত্তির বাজার মূল্য বেড়েছে বহুগুন। বিশেষ করে তার শহরের বাড়ির দাম অন্তত ৩ কোটি টাকা।
এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যরে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমান হলফনামায় দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৬ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৮ টাকা। ব্যবসা ও সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে এ আয় হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাখিলকৃত হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তি ছিলো ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ৬৩ শতক জমি ও ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকার ১৪শ’ স্কয়ার ফুটের ফ্লাট। বর্তমান হলফনামায় ফ্লাটের তথ্য গোপন করা হয়েছে। এছাড়া তার হেফাজতে স্বর্ণালংকার দেখানো হয়েছে ১৭ ভরি। যার মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৮৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে এক ভরি স্বর্ণালংকারের বাজার মূল্য এক লাখ টাকার উপরে। পূর্বের হলফনামায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকারের তথ্য দেয়া হয়েছিলো।
স্বপন ভট্টাচার্য্যরে স্ত্রী নয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তার ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্যও। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ছেলের কোন আয়, অস্থাবর, স্থাবর সম্পাদক না থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় তাকে কোটিপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া বাবদ তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৬৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৬০ টাকা। নগদ, ব্যাংক জমা, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র মিলিয়ে অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৪৬ লাখ ৯ হাজার ১২৫ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ২ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৪ টাকার অকৃষি জমি, ৭৭ লাখ টাকার একটি ফ্লাটের তথ্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া হেবাসূত্রে পাওয়া একটি ফ্লাটের তথ্য দেয়া হলেও তার মূল্য দেয়া হয়নি।
শাহীন চাকলাদারের আয় কমলেও বেড়েছে সম্পদ
যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর মাত্র তিন বছরে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের। বেড়েছে স্বর্ণালংকারের পরিমানও। এছাড়া শোধ করেছেন ৪ কোটি টাকার অধিক ঋণ। নির্বাচন কমিশনে তার দাখিলকৃত একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনে নির্বাচিত হন সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। তার মৃত্যুর কারণে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। নির্বাচনের আগে তিনি যে হলফনামা দাখিল করেন তাতে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয় ২ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে কোন তথ্য দেয়া হয়নি। আর স্থাবর সম্পত্তি ছিলো ৯৩৮.৩৫ শতক জমি, যার মূল্য ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মালিকানার শেয়ার ১৫ লাখ টাকা, ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৮.৩৫ শতক জমির উপর দুটি বাড়ি, ঢাকার মহাখালী ও কলাবাগান এলাকায় মোট ১৯ বর্গফুটের দুটি ফ্লাট, যার মূল্য ২ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮৫ টাকা। এছাড়া তিনি ব্যাংকে ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯৫ টাকার ঋণ ছিলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় কমে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৮ টাকায়। অথচ বেড়েছে তার অস্থাবর সম্পত্তি। গত তিন বছরে তিনি বন্ড, বাস-ট্রাক, ইলেক্ট্রনিক মালামাল, আসবাব, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার অর্জনের মধ্য দিয়ে ৪ কোটি ৬ লাখ ১১ হাজার ৫২২ টাকার মালিক হয়েছেন। একইসাথে তার স্ত্রী একইভাবে ১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মালিক বনে গেছেন। এ হিসেবে দেখানো হয়েছে গত তিন বছরে শাহীন চাকলাদার ও তার স্ত্রী ৭৫ ভরি (২০+৫৫) স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। যার বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
এছাড়া স্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে তার। ২০২০ সালে এমপিও হওয়ার আগে জমি ছিলো ৯৩৮ দশমিক ৩৫ শতক। সেটা বর্তমানে ৩৩১ শতক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজর ২৬৯ শতকে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ’ টাকা। পাশাপাশি বাড়ির জমি ১৮.৩৫ শতক থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৬১ শতকে। জমির দাম ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ লাখ ১৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১০ শতক জমি ক্রয় করতে ৪০ লাখ টাকা বায়না দিয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে তার হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায় তিন বছর আগে তিনি ঋণ ছিলেন ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯৫ টাকা। এমপি হওয়ার পর সেই ঋণ পরিশোধিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৬১ টাকায়।