যশোর প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহউদ্দিন নাসিম বলেছেন, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। সারাদেশে গণতন্ত্রের নামে বোমাবাজি, পুলিশ হত্যা, গাড়িতে আগুন, বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশ হাসপাতালে হামলা এবং সাংবাদিক নির্যাতন করে লাভ নেই। কারণ প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। শুধু যশোর না, দেশের কোথাও বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য করলে কঠোরভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের দড়াটনা ভৈরব চত্বরে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, পুলিশ হত্যা ও সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাহাউদ্দিন নাসিম জ্বালাও, পোড়াও, খুনের রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। একইসাথে যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইবে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপি-জামায়াত সোনার দেশকে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চায়। তা কখনও বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে গণতন্ত্রের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। সেই হত্যাকারীরা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি মুহূর্তে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যদি তার পরিবারের কেউ বেঁচে থাকে, সে যদি বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যায় তাহলে তার শক্ত জায়গা তৈরি হবে এদেশের মানুষের মণিকোঠায়। এ কথাটি ভেবেই জাতির পিতার পরিবারের সকলকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা দেশের বাইরে থাকায় তারা বেঁচে গিয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী। এ সময় তারা বলেন, এদের হাত থেকে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। জাতির পিতা সারাজীবন যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন তা বাস্তবায়নে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগস্বীকার করতে হবে। এ সময় বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, সহসভাপতি পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ প্রমুখ।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, কাউন্সিলর আলমগীর কবীর সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, মেহেদী হাসান মিন্টু, এসএম হুমায়ুন কবীর কবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ।