ঢাকা অফিস: আগামীকাল শনিবার বিএনপি-আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ ঘিরে ২০টি শর্ত দিয়েছে ডিএমপি, যা শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
শর্তে বলা হয়েছে:
এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন দিতে হবে।
স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের সকল কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
বেলা ১২টার পূর্বে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।
আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বাগচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করা হবে।
জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
এদিকে একই শর্ত দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগকেও। বিএনপি তাদের কর্মসূচি দলীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করবে। আর আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে পালন করবে। সমাবেশ করার অনুমতি চাইলেও জামায়াতে ইসলামীকে তা দেওয়া হয়নি। তারা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও তা কঠোরভাবে দমন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।