যশোর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষায় মাঠে একটি চক্র

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর সদরের রূপদিয়ার ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তারই ইন্দনে এ হত্যা মামলার সাক্ষীদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা, যুবলীগের আহবায়ক ইশারত আলী, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম বিপুল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি কাজী সারমিন সুলতানা তমা, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী ক্লে প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নিমতলী বাজারে হামলার শিকার হয় ইমরান, মোহাম্মদ আলী ক্লে, অপু, শহিদুল ও বল্টু। বিষয়টি জানতে পেরে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কচুয়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখতে বলেন। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় চেয়ারম্যান রাজু পুলিশ সাথে তাদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থনে যান। ফেরার পথে পুনঃরায় হামলার শিকার হয় আহতরা। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অস্থায় মারা যায়।
তিনি বলেন, রাকিব হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ঘটনার সময় আহতরা। সাক্ষীদের ঘায়েল করতে এবং মামলা ভিন্নাখাতে প্রবাহিত করতে এখন উঠেপড়ে লেগেছেন কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবক। এরই মাধ্যে রাকিব হত্যা মামলার সাক্ষীদের নামে চেয়ারম্যনের ইন্দনে মামলা করেছেন মফিজুর রহমান ধাবক। গত ৫ দিন আগে মফিজুর রহমান ধাবক নিহত রাকিব হত্যার আসামিদের সহযোগীতায় তার বাড়িতে বাজি ফুটিয়ে বোমা হামলা হয়েছে বলে প্রচার করেন। এ ঘটনায় মামলা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে বুঝতে পেরে আর মামলা নেয়নি। তিনি অবিলম্বে রাকিব হত্যার আসামিদের আটক ও সাক্ষীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন। #