ভাল বেতনে চাকুরী প্রলোভন দিয়ে ওমানে পাচার করে অমানুষিক নির্যাতন মুক্তিপণ দাবি থানায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
 ভাল বেতনে চাকুরী প্রলোভন দিয়ে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুখদেবনগর গ্রামের যুবক হযরত আলী (২২)কে ওমানে পাচার করে অমানুষিক নির্যাতনের মুখে মুক্তিপণ ৫লাখ টাকা দাবি করেছে। এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হলে পুলিশ পাচারকারী স্বামী স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে,নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ডুমুরতলা ঈদাগাহ পাড়া বর্তমানে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুখদেবনগর পশ্চিমপাড়ার শফিকুল ইসলাম মোড়লের ছেলে হাবিবার মোল্যার জামাতা সালাহ উদ্দিন, ও তার স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীন। স্বামীস্ত্রীকে রোববার দিবাগত গভীর রাতে তাদের সুখদেবনগর গ্রামের বাড়ি হতে আটক করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
মামলায় পাচারকারীর শিকার হযরত আলীর পিতা হায়দার আলী উল্লেখ করেন, সালাহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোাছাঃ শাহানাজ বেগম বাদির ছেলে হযরত আলীকে ওমানে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করতে থাকে। বাদিকে বলে বাংলাদেশী টাকার ২লাখ টাকা প্রতিমাসে বেতন প্রদান করা হবে। বাদি গরীব মানুষ হওয়ায় আসামীদের প্রস্তাবে রাজী হয়ে চুক্তি মোতাবেক শাহনাজ বেগমের হাতে নগদ ৩লাখ টাকা প্রদান করেন বাদি। গত বছরে সালাহ উদ্দিন ওমানে থাকতো এবং সে তার স্ত্রীর মোবাইল মারফত বাদি ও তার ছেলের সাথে নিয়মিত কথা বলতো। এরই ধারাবাহিকতায় পাসপোর্ট,ভিসা পেয়ে গত বছরের ৩অক্টোবর দুপুর ২ টায় শাহনাজ বেগম বাদির ছেলে হযরত আলীকে যশোর মনিহার বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা নিয়ে যায়। ৪ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিমানে পাঠিয়ে দেয়। বাদির ছেলেকে সালাহ উদ্দিন ওমান মাস্কট বিমান বন্দর থেকে রিসিভ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এক সপ্তা পরে সালাহউদ্দিন তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে সালাহ উদ্দিন বাদির নিকট আরো ৫লাখ টাকা দাবী করে। বাদি তার অসহায়ত্বের কথা জানালে সালাহউদ্দিন বাদির ছেলের উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে এবং হযরত আলীকে দাসত্ব মূলক শ্রমে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে ওমানের বিষাক্ত প্যালডিয়াম খনিতে কাজ করতে বাধ্য করে এবং সালাহ উদ্দিনসহ উক্ত প্যালডিয়াম খনির তত্বাবধায়কেরা বাদির ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। বাদি সালাহ উদ্দিন ও তা স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে বারবার তার ছেলেকে দেশে ফেরত পাঠাবার জন্য অনুরোধ করলেও বাদির কথা শোনেনি। ইতিমধ্যে ৪ মাস পূর্বে সালাহ উদ্দিন দেশে আসে এবং বাড়িতে অবস্থানকালে বাদি তার ছেলেকে ফেরত চাইলে স্বামীস্ত্রী মিলে বাদিকে মিথ্যা আশ^াস্ত করতে থাকে। গত ৫ আগষ্ট বিকেল ৫ টায় বাদি তার লোকজন নিয়ে সালাহ উদ্দিনের বাড়িতে যেয়ে তার ছেলেকে ফেরত আনার ব্যাপারে অনুরোধ করলে বাদিকে জানায় ৫লাখ টাকা না দিলে তার ছেলেকে ফেরত দিবে না। প্রয়োজনে ওমানের মাটিতে হযরত আলীকে পুতে ফেলবে বলে হুংকার দিলে বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে কোতয়ালি থানায় এসে মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত স্বামীকে সোমবার ৭ আগষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে‌।