যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এসআইসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
চাঁদাবাজি ও খুন-জখমের হুমকির অভিযোগে রাজবাড়িরর গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি ও এসআইসহ ৪ জনকের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার অভয়নগগেরর গুয়াখোলার মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী জিএম কামরুজ্জামান ভুট্টো।
আসামিার হলো, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার, এসআই মনিরুল ইসলাম, সোর্স সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল এবং ইয়াসিন শেখ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন নদী পথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালামাল দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। ২০২২ সালে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মেসার্স সায়দ এন্টারপ্রাইজের একটি শাখা অফিস নেন রাজবাড়ির গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। কিছুদিন পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ও এসআইয়ের পরিচয় দিয়ে আসামি সোহেল ও ইয়াসিন অফিসে যেয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেয়া হবেনা এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। সুষ্ঠু ভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আসামিদের ভয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ২০২২ সালের ১০ মার্চ নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন কিনে সাক্ষী শরিফুলের মাধ্যমে ওসি ও এসআইকে পৌঁছে দেন। ২৭ এপ্রিল ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে ১৫ টি পানজাবি, ২৮ এপ্রিল নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে ৪ কার্টুন খেজুর কিনে দেয়া হয় আসামিদের। এতে সন্তুষ্ঠ না হয়ে ওসি ও এসআই অপর দুই আসামির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে পাঠান। চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওসি ও এসআই হটঅ্যাস্পের মাধ্যমে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। ব্যবসা পরিচালনার সার্থে তিনি দুই দফায় ওসি ও এসআইকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। চাঁদার বাকি টাকার জন্য আসামিরা নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্দ ও পুলিশের উর্দ্বতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদার বাকি টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন আদালতে এ মামলা করেছেন।