ভগ্নিপতির সাথে পরকিয়া ও ব্যভিচারের অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি
ভগ্নিপতির সাথে পরকিয়া ও ব্যভিচারের অভিযোগে স্ত্রী নাজমা খাতুনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার কেশবপুরের বালিয়াডাাঙ্গা গ্রামের বকুলতলা এলকার লস্কর মোড়লের ছেলে শহরের আইটি পার্ক এলকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী অভিযোগের তদন্ত করে কেশবপুর থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, কেশবপুরের ব্রক্ষ্মকাটি গ্রামের খন্দকার সেলিমে মেয়ে নাজমা খাতুন ও তার ভগ্নিপতি ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের তালশার গ্রামের সাবদার গোলদারের ছেলে মিজানুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ আব্দুস সবুর পারিবাকি ভাবে নাজমা খাতুনকে বিয়ে করেন। তিনি যশোর শহরের আইপি পার্ক এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। আসামি মিজানুর রহমান ভগ্নিপতি হওয়ায় প্রায় তার বাসায় যাতায়াত করতেন। এরমধ্যে নাজমার সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আব্দুর সবুর বাসায় না থাকলে মিজানুর সুযোগ বুঝে বাসায় এসে নাজামার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত। গত ১ জুলাই নাজমা তার পিতার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে মিজানুকে সাথে নিয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে ওঠে। এদিন সন্ধ্যায় আব্দুস সবুরকে তার শ্যালক তার বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান। বাড়িতে যেয়ে দেখেন রান্নাবান্না চলছে। নাজমাকে খুজে না পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখেন আসামি মিজানুরের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। চিৎকার দিলে অন্যরা ঘরে আসলে মিজানুর রহমান গালিগালাজ করে আব্দুস সবুরের হাতে থাকা মোবইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন এবং নাজমা তার স্বামীর জামা-কাপড় ছিলে ফেলেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিয়ে মিজানুর রহমান বড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।