যশোরের বাঘারপাড়ায় চলতি আমন মৌসুমে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি হওয়ার আশংকা

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর খলিয়ে গ্রামে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ডিজেল ও বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে পরিচালিত ইরিগেশন প্রজেক্টটের সোলার ব্যবস্থাপনাটি ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্ত্বরা।
গত শুক্রবার রাতের আধাঁরে কে বা কারা ওই সোলার ব্যবহৃত পানি উত্তলন প্রকল্পটি ভেঙ্গে দিয়েছে। এর ফলে চলতি আমন মৌসুমে ওই গ্রামের ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
মন্ডাজ কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের সহযোগিতায় সরকারের পলিচালনায় আইডিসিএল এর প্রজেক্টের আওতায় গত ৮ বছর ধরে বৃহত্তর যশোরের তিনটি জেলায় নেয়া ১০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ বা ডিজেলের সাহায্যে সেচের ব্যবস্থা নেই সেখানে ওই সোলার প্রজেক্ট চলছে। এতে করে ওই ১০টি অঞ্চলের কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। যশোরের বাঘারপাড়ার জহুরপুর ইউনিয়নের খলিয়া গ্রামে একটি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, উপজেলার তৈলকুপা গ্রামের জয়নাল আবেদীন ওই প্রকল্পের কেয়ারটেকার হিসাবে কর্মরত রয়েছে। গত এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে ওই এলাকার কৃষক নানা অভিযোগ দেয়। ফলে তাকে ওই প্রজেক্টের চাবি হস্তান্তরের কথা বলে হলে সে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। গত শনিবার তাকে চাবি দেয়ার কথা বলে হলে সে রেগে গিয়ে রাতের আধাঁরে ওই প্রজেক্ট ভাংচুর করে বলে সন্দেহ হয়। এতে করে চলতি আমন মৌসুমে ওই এলাকার ১শ’ কৃষকের একশ বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি এই ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন জানিয়েছেন, খলিয়া গ্রামে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সোলার ইরিগেশনের একটি প্রজেক্ট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন।