যশোরে অন্ধ স্বামীকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির টাকা ও স্বর্ণালংকর ভাসুরের কাছে গচ্ছিত রেখে ফেরত চাইলে মারপিট মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
ভিক্ষাবৃত্তি করে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জমানো এক লাখ উনিশ হাজার নয়শ’ পঞ্চাশ টাকা প্রতারণা মূলকভাবে আত্মসাত পূর্বক হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ জখম,শ্লীলতাহানী এবং খুন জখমের হুমকী ধামকীর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় বুধবার ২ আগষ্ট দিবাগত গভীর রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে সবজে আলী ওরফে কুনছে,কুনছের স্ত্রী মোছাঃ মোমেনা বেগম ও সবজে আলী ওরফে কুনছের এর ছেলে সাগর।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদি একজন প্রতিবন্ধী নারী। আসাীরা দূর্দান্ত,দাঙ্গাবাজ,ঠক মিথ্যাবাদী,প্রতারক,অবৈধ বিশ^াস ভঙ্গকারী ¤্রনেীর লোকজন হচ্ছে বাপ্পি হোসেন বাদির ভাসুর, দুই নং আসামী বাদির স্ত্রী মোছাঃ মোমেনা বেগম  সাগর  আসামীর ছেলে। বাদি ও তার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত যশোর শহরে বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করে জীবন যাপন পরিচালনা করেন। সেই ভিক্ষার টাকা কিছু কিছু সঞ্চয় করে বাদির মেয়ের বিয়ের জন্য তিলতিল করে টাকা জমিয়ে গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারী ১লাখ ১৯ হাজার টাকা ৯শ’ ৫০ টাকার ১টি সোনার চেইন, একজোড়া কানের দুল মোট ১ভরি ৮ আনা ২রতি এবং গত বছরের ২ আগষ্ট সোনার একটি বেসলেট ১৫ আনা ৪ রতি ৫ পয়েন্ট ও দুই জোড়া রুপার ৭ আনা মোট ৯০ হাজার ৫শ’ ৩ টাকা এবং নগদ ২লাখ টাকা বাদি তার ভাসুরদের নিকট জামানত হিসেবে জমা রাখেন। বাদির বাড়ি ঘরের অবস্থা ভাল না থাকায় তাদের নিকট সোন্ াও রুপা মিলে ২লাখ ২০ হাজার টাকা ও নগদ ২লাখ টাকা সর্বমোট ৪লাখ ২০ হাজার টাকা আসামীদের নিকট গচ্ছিত রাখেন। গত ২৩ জুলাই বিকেল ৫ টায় বাদি ও তার অন্ধ স্বামীকে নিয়ে আসামীর বাড়িতে যেয়ে তার গচ্ছিত রাখা সম্পদ ফেরত চাইলে আসামীরা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা করে বাদিকে তার অন্ধ স্বামীকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে বাড়ি হতে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বাদি ও বাদির স্বামীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সবজে আলী ওরফে কুনছে বাঁশের লাঠি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে বাদির মাথায় আঘাত করলে বাদির ডান হাত দিয়ে ঠেকালে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। সাগর সাইজ কাঠ দিয়ে বাদির ডান হাতে আঘাত করে এবং বাদির অন্ধ স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এছাড়া,বাদির মাথায়সহ সর্বশরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। বাদির পরনের কাপড় টাকা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাদির অন্ধ স্বামী ঠেকাতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। বাদির ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাদিকে আসামীরা ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার এক পর্যায় গত ২৫ জুলাই বাদি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়।