ঝিকরগাছার আক্তারুল হত্যা মামলা পিবিআইকে তদন্তের আদেশ

যশোর প্রতিনিধি 
ঝিকরগাছার খোশালনগর গ্রামের আক্তারুল ইসলাম হত্যা মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশে দিয়েছে আদালত। রোববার মণিরামপুর থানা পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার নিহতের মা রোকেয়া খাতুন বাদী হয়ে স্ত্রীসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর আক্তারুল ইসলাম পারিবারিক ভাবে শামীমা নাসরিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শামীমা প্রায় সময় স্বামীর টাকা, মালামাল চুরি করে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যেত। শামীমা নাসরিন তার স্বামী বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মাশলা করে। গত ১২ জুলাই আক্তারুল ও তার ভাই এবং ভগ্নিপতি যশোর পিবিআই অফিসে আসেন স্ত্রীর করা মামলার নোটিশ পেয়ে। ভাই নজরুল ও আব্দুল আজিজ মণিরামপুরের দোগাছিয়া বাজারে পৌঁছালে আসামি আবুল কালাম, সাইফুল, আব্দুস সালাম গতিরোধ করে আক্তারুল কোথায় জানতে চায়। রাতে আক্তারুল বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পুলিশ আক্তারুলের মোবাইল নম্বর ট্যাগ করে পরে দিন গভীর রাতে ি মণিরামপুরের দঘীরপাড় গ্রামের পাকা রাস্তার পাশে আক্তারুলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল মৃতদেহের পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিতের মা রোকেয়া খাতুন বাদী হয়ে নিহের স্ত্রীসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আসামিরা হলো মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামের দক্ষিনপাড়ার নিহতের শ্বশুর রুহুল আমিন সরদারের শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, দুই শ্যালক আবদুল কালাম আজাদ ও আব্দুস সালাম এবং নিহতের স্ত্রী শামীমা নাসরীন এবং একই গ্রামের রফিক খার ছেলে সাইফুল ইসলাম।
এ অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন মামালা হয়েছে কিনা, হলে সর্বশেষ অবস্থাসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন মণিরামপুর থানার ওসিকে। রোববার থানা পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন। #