যশোর প্রতিনিধি
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আগমনকে পুঁজি করে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে কতিপয় নেতারা মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যে হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ নার্স ও সিনিয়র স্টাফ নার্সদের কাছে মাথা পিছু ৫শ’ টাকা হাতে চাঁদা দাবি করেছেন। মাথা পিছু ৫শ’ টাকা হারে অত্র হাসপাতালে কর্মরত মোট সেবিকাদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উত্তোলনের টার্গেট নিয়ে চাঁদা চাওয়ায় কর্মরত সেবিকাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মরত সেবিকাদের মধ্যে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের কথিত সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুনসহ নিজেরা নিজেরা সিলেকশন কমিটির কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সেবিকাদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত চাঁদার টাকা নিজে ব্যক্তিগত ও আরাম আয়াশে ব্যয় করাসহ বহুবধি অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আগমনে নতুন করে মাথাপিছু সেবিকাদের কাছে ৫শ’ টাকা হারে চাঁদা দাবি করায় সেবিকাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা ক্ষোভ বিক্ষোভ। তারা ইতিপূর্বে চাঁদার টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সে ব্যাপারে বর্তমান কমিটির কতিপয় নেতাদের কাছে জবাব চেয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কর্মরত বেশ কয়েকজন সেবিকারা অভিযোগ করেছেন,নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক তহমিনাসহ কয়েকজন সেবিকাদের কাছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আগমন উপলক্ষে মাথাপিছু ৫শ’ টাকা হারে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা চাওয়ার পর থেকে কর্মরত সিংহভাগই সেবিকাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অনেকে বলাবলি করেন ইতিপূর্বে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা মাসিক ও বিশেষ দিন উপলক্ষে আদায়কৃত চাঁদার টাকা কোনখাতে খরচ হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চান। ভোট বিহীন নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন সেবিকাদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত টাকা কোথায় এমন প্রশ্ন তুলেছেন কর্মরত সেবিকাদের প্রায় সকলেই। কমিটি কুক্ষিগত করে রাখার জন্য সাধারণ সম্পাদক যা ইচ্ছা তাই করছেন। তিনি নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের সেবিকাদের কাছ থেকে উত্তোলকৃত টাকা রাজধানীতে যাতায়াত,ভাল হোটেলে থাকা,ভাল রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া, পরিবারের বিভিন্ন দাওয়াতে উপহার কেনা,নিজের পরনের জন্য দামিদামি কাপড় কেনাসহ বিভিন্ন ভাবে খরচ করেন। যা কমিটির অন্যান্য নেতাদের অজানা নয়। তার স্বেচ্ছাচারিতার জন্য নিজের করা কমিটির মধ্যে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ। কর্মরত সেবিকারা নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি দেখতে চান। বছর বছর নিজেরা নিজেরা গঠিত সিলেকশন কমিটির কার্যক্রমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মৌন বিক্ষোভের মাধ্যমে। মাথা পিছু ৫শ’ টাকা চাঁদা আদায়ের কথা বলেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে। তার আগমন উপলক্ষে গেট ও ম সাজ সজ্জা ও খাবারসহ বিভিন্ন কাজে ব্যয়ের কথা বলছে। হাসপাতালে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলেছেন, সিংহভাই সেবিকারা কতিপয় নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন অন্তরালে। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,আগামী ৩০ জুলাই রবিবার স্বাস্থ্য সচিব ডাক্তার আনোয়ার হাওলাদার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পরিদর্শনে আসবেন। তিনি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানাগেছে।#