যশোরে দেবর,ননদ কর্তৃক ভাবীর কাছে ১০ লাখ  টাকা চাঁদাদাবি ও মারপিটের ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
স্বামীর নিজ নামীয় জমি তার স্ত্রী ও নাবালিকা মেয়ের নামে হেবা রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার পর শিশু ছেলের চিকিৎসার জন্য প্লট আকারে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহন করায় দেবর ও ননদ কর্তৃক বাঁধা প্রদান ও ১০লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে প্রাণ নাশের হুমকী এবং শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ভাবী যশোর শহরের শাহ আব্দুল করিম রোড,খড়কী এলাকার অসুস্থ্য শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে ফাতেমা বেগম মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আসামী করেছেন, দেবর মৃত শেখ আকবার আলীর ছেলে শেখ শহিদুল ইসলাম,সহোদর তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ,ননদ জুলেখাসহ তাদের ভাড়া করা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ৩/৪জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার স্বামী গত ৮ বছর যাবত মারাত্মক ভাবে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য  এবং তিনি একজন প্রতিবন্দ্বি। বাদির স্বামী তার অসুস্থ্যতার কথা চিন্তা করে বিগত ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর তার নিজ নামীয় চাঁচড়া ইউনিয়নের জে,এল নং ৫৮,ভাতুড়িয়া মৌজা হতে এস,এ ৬৫২ দাগ, হাল ৮৩২ আর,এস দাগে ১৯.২১ শতাংশ জমি এবং এস,এ ৬৪৭ দাগ,আর,এস ৮৩১ দাস হতে ১৭.৯০ শতক জমি তার স্ত্রী অর্থাৎ বাদি ও তার নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ শারমিন আক্তার  লীনা এর নামে হেবা দলিলের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। যার দলিল নং ১৫৮০৬ এবং উক্ত জমির পরিপূর্ন দখল  নিয়ন্ত্রন বাদির রয়েছে। উল্লেখ্য,উক্ত জমির আর,এস রেকর্ড বাদির শ^শুর শেখ আকবার এর নামে আছে। কিন্তু তিনি ২০০১ সালে মৃত্যু বরণ করেন। বাদি তার স্বামী কর্তৃক হেবাকৃত জমির নামপত্তন বাদির মেয়ে ও  তার নামে রয়েছে। যার নামজারী মামলা,ডি,সি,আর এবং সর্বশেষ গত বছরের ৩ মে বাদি উক্ত  দাগের জমির কর ও খাজনা পরিশোধ করেছে।বাদির একটি পুত্র সন্তান আছে তার নাম শেখ লাবিব হাসান। সে জন্ম হতেই হার্টের ছিদ্র নিয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তার চিকিৎসার জন্য বাদি লক্ষলক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু  অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাদি তার পুত্রকে ভারতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের দরকার হলে বাদির স্বামী কর্তৃক প্রদত্ত জমি পরিমাপ পুর্ব প্লট করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে কারনে গত ২ মাস পূর্বে অর্থাৎ গত ১২ মে সকাল ১০ টায় দেওয়ানী আদালতের কমিশন এ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান (সার্ভেয়ার) কে নিয়ে জামি মাপতে গেলে উল্লেখিত আসামী বাদি দেবর ও ননদসহ তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসী অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন হাতে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদিকে ও সার্ভেয়ার সাহেবকে উক্ত জমি হতে জোর পূর্বক উঠিয়ে দেয়। বাদির দেবর শহিদুল বাদিকে বলে এই জমিতে প্রবেশ করতে হলে তাকে ৫লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। দেবর তৌহিদুল  ইসলাম তৌহিদ বলে এই জমিতে প্রবেশ করতে হলে তার স্বামীর ৪টি দোকান ঘরের ২টি তার নামে দিতে হবে অথবা ৫লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।  না দিলে উক্ত দাগের জমিতে বাদিকে প্রবেশ করতে দিবে না এবং নগদ জুলেখা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা বাদিকে খুনকরে ফেলবে মর্মে হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সকাল ১০ টায় বাদি সার্ভেয়ার নিয়ে উক্ত জমি পুনরায় পরিমান করতে গেলে পুনরায় শহিদুল ইসলাম ৫লাখ টাকা ও তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে খুন জখমের হুমকী দেয়। সেই সময় ননদ জুলেখা প্রাণনাশের হুমকী দেয় এবং বাদিকে কিল,ঘুষি,চড়,লাথি মারতে থাকে। শহিদুল ইসলাম অসৎ উদ্দেশ্যে বাদির বোরখা টেনে খুলে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং জমি হতে উঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার স্বাক্ষী তার শিশু ছেলেসহ আশপাশের লোকজন।