যশোরে ১১ মাস পর জামিনে মুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ূব

যশোর প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১১ মাস ৩ দিন কারাভোগের পর অবশেষে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব। সোমবার রাত ৯টার কিছু পর ময়মনসিংহ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তার মুক্তির খবরে যশোরের বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ প্রকাশ করেন।

দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২০২২ সালের ২৯ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা দরাজহাট গ্রাম থেকে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূবকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। এসময় ঢাকার আদালতে দুদকের একটি মামলাসহ পুলিশের দায়ের করা কথিত নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের হওয়া ২৭ টি মামলায়  তাকে আটক দেখানো হয়। এই দীর্ঘ সময়ে কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তিনি অন্যসব মামলায় জামিন লাভ করলেও দুদকের মামলায় আটক ছিলেন।
সর্বশেষ গত ২৬ জুন ঢাকা মহানগর স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতের বিচারক জনাব আসাদুজ্জামানের আদালত থেকে তিনি জামিন লাভ করেন। তবে ২৭ জুন থেকে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুঠি থাকায় তার জামিনের কাগজপত্র আদালত আদালত থেকে কারাগার পর্যন্ত পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। সোমবার ডাকযোগে জামিনের যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর ময়মনসিংহ কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন।
যশোরে বাঘারপাড়া থানা বিএনপির আহবায়ক শামসুর রহমান রাতে জানান, ময়মনসিংহ কারাগার থেকে জামিনের পর টিএস আইয়ূব রাতেই তার ধানমন্ডীর বাসায় পৌঁছান। তার মুক্তিতে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ফিরে পেয়েছে। যা আগামী রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলনে গতি সঞ্চার করবে।
কারামুক্তির পর মঙ্গলবার সকালে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাঠ থেকে তাকে দূরে রাখার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে তাকে কারাগারে আটক রেখেছিলো। কারাগারে থাকাবস্থায় যশোর-৪ নির্বাচনী এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সহানুভূতির কথা ভোলার নয়। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আগামী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় হবেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলার পর খুব দ্রুত সময়ে এলাকায় ফিরতে চান।