আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি আমেরিকা সফরে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে মোদিকে প্রশ্ন করেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক। এরপর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে হয়রানির শিকার হন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাবরিনা সিদ্দিকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হোয়াইট হাউসে ২২ জুন যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সময় প্রশ্ন করেন। এরপরই তাকে অনলাইনে ভারতীয়দের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। সোমবার একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং এটি গণতন্ত্রের নীতির বিরোধী যা গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় প্রদর্শিত হয়েছিল।’
সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবরিনা সিদ্দিকী। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী রয়েছে যারা আপনার সরকারের ওপর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ তোলেছে। এর সমালোচনা করায় নাভাবে আপনারা চুপ করিয়ে দিয়েছেন। আপনি এবং আপনার সরকার আপনার দেশের মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রদান করতে এবং বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক?’
জবাবে এই প্রশ্নে তার বিস্ময় প্রকাশ করে মোদি এবং হিন্দিতে বলেন, ‘ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে, বর্ণ, ধর্ম, বয়স বা কোনো ধরণের ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে একেবারেই কোনো বৈষম্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে ভারতে গণতন্ত্র আছে। রাষ্ট্রপতি বাইডেন যেমন উল্লেখ করেছেন, ভারত এবং আমেরিকা, উভয় দেশেই গণতন্ত্র আমাদের ডিএনএতে রয়েছে। গণতন্ত্র আমাদের আত্মা। গণতন্ত্র আমাদের শিরায় শিরায় বইছে। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি।
এরপর থেকেই মূলত সাবরিনা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনলাইন হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন।