যশোরে দিন দুপুরে কলেজ পড়–য়া  শক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগে মামলা

যশোর প্রতিনিধি
দিন দুপুরে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী সানজিদা ইয়াসমিন চুমকি (১৬) অপহরনের অভিযোগে দুই দিন পর কোতয়ালি থানায় নারী  ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। রোববার ২৫ জুন রাতে মামলাটি করেন যশোর শহরের পুরাতন কসবা (আজিজ সিটি কাজী পাড়া) এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী  ও সুলতান আলীর মেয়ে আলেয়া। মামলায় আসামী করেন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাগদা গ্রামের মতিয়ার রহমান খাঁনের ছেলে সাহাদী হাসান খাঁনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় অপহৃতা তরুনীর মা আলেয়া উল্লেখ করেন,তার মেয়ে সানজিদা ইয়াসমিন চুমকি যশোর সরকারি এম এম কলেজের বাণিজ্য বিভাগের এইচএসসি ছাত্রী। বর্তমানে উক্ত মেয়ে কলেজে অধ্যায়নরত আছে।বাদির মেয়ে নিজ বাসা হতে প্রতিদিন উক্ত কলেজে যাওয়া আসা করতো। এরাই ধারাবাহিকতায় কয়েকমাস পূর্বে সাহাদী হাসান খাঁনের সাথে চুমকির পরিচয় হয়। গত ২৩ জুন বেলা ১১ টায় চুমকি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাড়ি হতে বাজারে গেলে আসামী সাহাদী হাসান খাঁনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদির নাবালিকা মেয়েকে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজির করতে থাকে। কিন্তু কোথাও চুমকিকে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাদি তার মেয়েকে না পেয়ে উক্ত সাহাদী হাসান খাঁনের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে স্বীকার করে যে বাদির মেয়ে বর্তমানে তার সঙ্গে আছে। উপরোক্ত সাহাদী হাসান খাঁন বাদির নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে বাদির স্বামী বাড়িতে আসলে ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত লোকজনকে জানিয়ে বাদি ও  তার স্বামী আসামীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাহাদী হাসান খাঁনের পিতামাতা বাদি এবং বাদির স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন আসামীদের সহায়তায় বাদির নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে বলে বাদি আশংকা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃতা কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার কিংবা অপহরণকারী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।