যশোরে চলন্ত যানবাহন থেকে পণ্য লুটকারী চক্রটি ফের তৎপর

যশোর অফিস
যশোর শহরের বিভিন্ন রুটে চলন্ত গাড়ি থেকে মালামাল লুটকারী চক্রটি ফের তৎপর হয়েছে। দিনের বেলায় ট্রাক বা অন্য কোন চলন্ত বাহনে উঠে মালামাল নিয়ে সটকে পড়ছে। গত দুই সপ্তাহে এই রকম দুইটি ঘটনা জানাগেছে। ওই চক্রটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান আফিল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির গ্যাস সিলিন্ডার ও দামি অ্যানার্জি বাল্প চলন্ত গাড়ি থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।
আফিল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ব্যবস্থাপক শামসুল হাসান জানিয়েছেন, গত ২৪ জুন ভোরের দিকে কোম্পানির একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্ট্রো র-১৪-০৬৩৩) ওমেরা কোম্পানির গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে চৌগাছায় যাচ্ছিল। ভোর ৪ থেকে সাড়ে ৪টার দিকে শহরতলীর শানতলা থেকে চুড়ামনকাটি রেলক্রসিং এর মধ্যে চলন্ত ট্রাক থেকে ৮টি সিলিন্ডার চুরি করে নেয় চক্রটি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ হাজার ৩৬০ টাকা। ট্রাক চালক যখন চুড়ামনকাটি রেলক্রসিং পার হন তখন বুঝতে পারেন ট্রাক থেকে কে বা কারা লাফ দিয়েছে। তিনি ট্রাক থামিয়ে দেখতে পান ট্রাকে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর থেকে ৮টি নেই। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে জানান।
তিনি আরো জানিয়েছেন, গত ১৩ জুন দুপুরে এই রকম আরো একটি ঘটনা ঘটেছে। সে বার যশোর শহরে চাঁচড়া বাজার থেকে টার্মিনালের মধ্যে ঘটে। ওইদিন একটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্টো-অ-১৪-১৬০৩) করে অ্যানার্জি বাল্প বহন করা হচ্ছিল। চলন্ত ট্রাক থেকে চোরচক্রটি এক বক্স দামি অ্যানার্জি বাল্প নিয়ে সটকে পড়ে। যার বাজার মূল্য ২২ হাজার টাকা। এই বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছিল।
এই ধরনের চলন্ত যানবাহন থেকে পণ্য চুরি যশোরে প্রায় সময় হয়ে থাকে। মাঝে কিছুটা কমে গেলেও এই চক্রটি ফের তৎপর হয়েছে। এই চক্রটি মহা সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ফলো করতে থাকে। সুযোগ বুঝে ইজিবাইক, নছিমন, পিকআপ বা অন্য কোন ছোট বাহনে করে পিছু নিয়ে চলন্ত বাহনে উঠে পড়ে। এরপর বাহন থেকে মালামাল নিয়ে নেয়। পিছু নেয়া বাহনে গ্রুপের অন্য সদস্যরা তা নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। এই ধরনের একটি চক্র যশোর শহরের শংকরপুরে বসবাস করতো। জাফর নামে চক্রের হোতা একবার পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর থেকে কিছুটা কমলেও ফের চক্রটির তৎপরতা বেড়েছে। এই চক্রটিকে সনাক্ত করে আটক করতে না পারলে পন্যবাহি যানবাহন থেকে মূল্যবান পণ্য চুরি হতেই থাকবে বলে ভুক্তোভোগিরা মনে করছেন।